ভোলায় নে’শা জাতীয় দ্রব্য খাবারের সাথে খাইয়ে ঘর ডাকাতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার,হালিম রানা।

দৌলতখান উপজেলার দক্ষিন জয়নগর ৮নং ওয়ার্ডের করিমউদ্দিন হাওলাদার বাড়ীর মিজানুর রহমান (বাচ্ছু) হাওলাদারের ঘর ডাকাতরা ডাকাতি করে নেওয়ার অভিযোগ। মিজানুরের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান,২০ জুন ২০২৩ ইং মঙ্গলবার রাতে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ঘর ডাকাতি করেছে। একই এলাকার দূর্দান্ত প্রভাবশালী ডাকাত তিন জন লোক তারা প্রায় সময় আমাদের বাড়ীতে আসতো। তারাই আমার ঘর ডাকাতি করে ১৩ বড়ি স্বর্ন ও নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ লক্ষধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেন। জান্নাত জানান,আমার স্বামী মিজানুর রহমান বাচ্ছু নুরমিয়ার হাটে মুদি দোকানের ব্যবসা করেন, আমি রান্না শেষে তার আসার অপেক্ষা করে ঘুমিয়ে পরি এসুযোগে ওই ডাকাতরা ঘরের উপরের পাটাতন ভেঙ্গে ঘরে ডুকে আমার রান্না করা খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশেয়ে দিয়ে লুকিয়ে থাকে। একপর্যায় আমার স্বামী মিজানুর রহমান বাজার থেকে এসে খাবার খেয়ে মুহুর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে পরেন। আমিও তার সাথে সুইয়ে রয়েছি। কিছুক্ষন যেতে না যেতেই ডাকাত তিনজন ঘরের ভীতরে হাটতে দেখি এবং আমাদের ঘরের আলমিরা ভাংতে শুরু করেন। ঠিক তখনী আমি আমার স্বামীকে ডাকতে থাকি ওই সময় আমার স্বামীর কোন সারা শব্দ না পেয়ে আমার সন্তানকে ডাকতে গেলে ডাকাত তিনজন আমাকে কাপর দিয়ে মুখ ও হাত বেধে ফেলে একটু পরে যখন আমার ছেলের ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাকেও ওই ডাকাতরা তার গলায় ছুড়ি ধরে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, আমার ছেলেটিও তখন অজ্ঞান হয়ে পরে। এরই মধ্যে তারা আমাদের ঘরে থাকা ও আমার সাথে থাকা স্বর্ন ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তারা চলে যায়। জান্নাত আরো জানান যে,আমি উক্ত ডাকাত তিন জনের মধ্যে একজনকে চিনতে পেরেছি,তবে এখন তার নাম বলবো না সময়মত অবশ্যই তার ও তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনের সহযোগিতা নেব এবং নাম বলবো। তিনি বলেন আমার ভাগ্য ভাল যে, তখন আমি আমার স্বামীর সাথে তেমন বেশি খাবার খাইনি বলেই নেশাগ্রস্ত হইনি। ডাকাতরা যাওয়ার পর আমি জোর খাটিয়ে মুখেরও হাতের বাধন খুলে চিৎকার করতে থাকি। আমার ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে আমার স্বামীকে অজ্ঞান অবস্থানে দেখে তারা চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান। এব্যাপারে দৌলতখান- থানায় একটি জিডি দায়ের করেছি। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বাচ্ছু ও তার স্ত্রী ডাকাতদের চিনতে ফেরেও মুখ খুলতে পারছে না উক্ত ডাকাতদের ভয়ে, কারন তারা এলাকার প্রভাবশালী । এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বাচ্ছু ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস, প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান,মেম্বারদের সহযোগিতা কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *