ভোলায় মিধিলির প্রভাবে ২ লাখ হেক্টর জমির আমন ধানসহ শত কোটি টাকার ইট ভাটা ক্ষতিগ্রস্ত

আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা প্রতিনিধি।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯টি ইউনিয়নের ৫২৬টি ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ হেক্টর আমন ও মৌসুমী ফসল, ৫ শতাধিক বসতঘর, শত কোটি টাকার ইট ভাটা সহ ২টি ট্রলার ডুবির ঘটনায় প্রায় কয়েকশত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, জেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমির কাঁচাপাকা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ২৭% ধান হেলে পড়েছে এবং মৌসূমী ফসল খেতে বপন করা ৫০% গম, খেশারী ও সরিষা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা এবিএম আকরাম হোসেন জানায়, বিভিন্ন স্থানে ৫ শতাধিক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক ঘর ৪২৬টি ও ৭৩টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এছাড়াও ভোলা জেলার বৈধ ১৪০টি ইট ভাটার মধ্যে প্রায় ১শ’ ইট ভাটায় তৈরী কাঁচা ইট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রতিটি ইট ভাটার কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা করে প্রায় শত কোটি টাকা কাঁচা ইট আগুন দেয়ার পূর্বে নষ্ট হয়ে গেছে।

তজুমদ্দিন উপজেলার সম্ভুপুর ইউনিয়নের শামীম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ভারি বৃষ্টিপাতসহ ঝড়োহাওয়া শুরু হয়। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট সহ ফসলি জমি।

জেলা মৎস্য আবুল কালাম আজাদ জানায়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলার মেঘনায় ২টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও বাদশা (৫০) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ বাদশাকে উদ্ধারে পুলিশ ও কোস্ট গার্ড কাজ করছে।

ভোলা বিদ্যুৎ বিভাগের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কারনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিভ্রাট ঘটেছে। সচল করতে আমরা কাজ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *