ভোলা সদর পৌর ৯নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামিম

ভোলা সদর পৌর ৯নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামিম

আবুল কালাম আজাদ (ভোলা)

ভোলা জেলার ইতিহাসে সফল ও জনপ্রিয় ভোলা সদর পৌর সভা ৯নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামিম।
তিনি ভোলা সদর উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মিয়া পরিবারের সন্তান। তার পিতার নাম মোঃ অহিদুল হক (দুলাল মিয়া)।

তার আরো সু’যোগ্য দুইটি ভাই রয়েছে, মোঃ সোহেল মিয়া ও ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম শুভ মিয়া। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ভোলা-১ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমদের কনিষ্ঠ আত্মীয়।
স্থানীয়রা জানান,তারা তিনটি ভাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মাইনুল ইসলাম শামিম মিয়া তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।

মাইনুল ইসলাম শামিম সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করে তিনি চলেছেন। দু’বার কাউন্সিলর হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি ভোলা পৌর সভা ৯নং ওয়ার্ডের সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়। তিনি অনেক প্রবীণ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক।

এসকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা।

কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি । এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার ও পৌর সভা ৯নং ওয়ার্ডের আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিত।
এ মানুষটি নিজের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন এবং পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।

ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যান্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয় ব্যাক্তি ।

গত পৌর নির্বাচনের সময় সাধারন মানুষ তাকে ভাল বেসে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেন। সেই আস্থার প্রতিদানও দিচ্ছেন তিনি। কাজ করে যাচ্ছেন, দলের জন্য এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য। কাজ করছেন নিজ দলের ও তোফায়েল আহমেদ এম.পি’র জন্য। কাজ করছেন নৌকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। বয়সে তরুণ হলেও তিনি মনোবল হারাননি। এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরুকরে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন।

এলাকার সাধারণ মানুষেরা বলেন, আমরা নেতা বা কাউন্সিলর বুঝিনা। মাইনুল ইসলাম শামিম ভাই একজন ভাল মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি কাউন্সিলর পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়।
মাইনুল ইসলাম শামিম বলেন, আমি দ্বায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমি নিজেকে সাধারন মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিজে উৎসর্গ করে দিয়েছি। আমি আমার নিজস্ব প্রচেষ্টায় তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সবসময় তাদের পাশে থাকতে চাই। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেকে জনগনের মাঝে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুুত রয়েছি ইনশা’আল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *