
এম,সরোয়ার।
পুলিশের দর্শন এবং মূলনীতি হলো অপরাধ দমন এবং অনিয়মকে প্রতিহত করা। এই দর্শন এবং মূলনীতিকে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাষ্ট্র গঠন করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে পুলিশ হবে জনমুখী।
সেই প্রত্যাশা পূরণে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেন তিনি ভোলা জেলা দৌলতখান থানায় দীর্ঘদিন ধরে শুনামের সাথে ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। আজও দৌলতখানের মানুষ তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এর পর সুনামের সাথে তিনি ভোলা মডেল থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করেন।
ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ হয়ে যোগদানের এক বছরের মধ্যে তিনি নিজের সততা, মেধা, বিচক্ষণতা কর্মদক্ষতা ও মানবিকতার মাধ্যমে ভোলা সদর উপজেলার সাধারণ মানুষের মন জয় ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।
জানাযায়, ভোলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ হিসাবে মোঃ এনায়েত হোসেন তার কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগে পাল্টে যায় ভোলা সদর উপজেলার দৃষ্টিপট। তিনি ভোলা সদর উপজেলাকে সর্বপ্রথম ঘুষ ও দালাল মুক্ত, সাধারণ মানুষের জন্য পুলিশি সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
ভোলা মডেল থানায় সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ যেন কোন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখেন তিনি। পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এই অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেন। তিনি আইনি সেবা দেওয়ার জন্য থানায় খোলা হয়েছে আলাদা আলাদা হেল্প ডেস্ক। যার সুফলও পাচ্ছেন সেবা প্রত্যাশী মানুষ। এখন তার সততা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ভোলা মডেল থানায় জিডি কিংবা মামলা করতে,পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবা পেতে কোন টাকা লাগে না। সেবা প্রত্যাশী বাঙ্গালী মানুষ এখন পুলিশের কাছে আসতে ভয় পায় না।
ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ,এনায়েত হোসেন জানান,সুন্দর আচরণ ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আইনগত সেবা প্রদানে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ বদ্ধপরিকর। মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক সহ অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে।
গত এক বছরে তিনি মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের দমন, বিপুল পরিমাণ।ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরে এসেছে।পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান স্যারের নির্দেশনায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করে ভোলা জেলাকে সন্ত্রাস ও মাদক কবলিত আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড নির্মুল প্রচেষ্টা অনেকটা সফল হয়েছি।
সামাজিক সমস্যা এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, মানবিক পুলিশিং কার্যক্রম, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বে অবদান রাখা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, জুলুমবাজ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু , মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাইতো মানুষের মুখে শোনা যায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেনের প্রশংসার কথা।
ভোলা সদর উপজেলার সাধারণ নাগরিকরা বলেন দেশের প্রতিটি থানার ওসি যদি ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেনের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তাহলে মাদক, চোরাচালান, ঘুষ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত এই দেশ হতো
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তার আরো বলেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেন কাজ করে যাচ্ছেন দায়িত্ববোধের সাথে, যা মানুষকে ভালোবাসার এক অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ। তিনি’একজন সাদা মনের মানুষ। এজন্য পুলিশ হিসাবে ইতোমধ্যে তিনি ভোলা সদর উপজেলার সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন।