
মোঃ সোহেল হাওলাদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
একাধিকবার নিউজ প্রকাশের পরও থামছে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা।বরং নিউজ প্রকাশের পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে পক্ষিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের ড্রেজারের মালিক মোশারেফ ওরফে মাটি খেকো মোশাররফ। কুতুবা ইউনিয়নের মানিকার হাট বাজারের পশ্চিম পার্শ্বের সাধারণ কৃষক এবং মাটি খননকৃত ভূমির পার্শ্ববর্তী মালিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় “এ যেন এক নদী খনন প্রকল্পের কাজ ” চলছে। ভূমি মালিকরা অভিযোগ করে বলেন যে প্রায় শত ফুট গভীরতা তৈরি করে মাটি কাটার ফলে বড় বড় চাইন নিয়ে ভেঙে পড়ছে তাদের ফসলি জমি।ফলে ফসলের ক্ষতি সহ ভবিষ্যতে ফসল আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে তাদের ফসলি জমি। তারা আরো দাবি করেন যে, ড্রেজিং মেশিনের মালিক এবং বালু উত্তোলনকারী ভূমি মালিকের যোগসাজশে অভিনব কৌশলে পার্শ্ববর্তী মালিকদের ভূমি দখল করাই এর অন্যতম কুমতলব। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ড্রেজিং মেশিনের মালিক মোশাররফের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাহার মেশিনের বৈধ কাগজ পত্র এবং স্থানীয় ভূমি অফিসের কোন অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি উল্টো গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি প্রদান করেন এবং পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সর্দারের লোক বলিয়া দাবি করেন। তাহাকে কাগজ পত্র নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসারের কার্যালয়ে আসার অনুরোধ করিলে তিনি জানান যে, সে ব্যাংকের মাধ্যমে সরকার কে ট্যাক্স পরিশোধ করেন কিন্তু রশিদ দেখাতে রাজি নন এবং ভূমি অফিসে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে ভূমির মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করিলে তিনি জানান যে তাহার জমি তিনি কাটান, সরকারি ভাবে ফসলি জমি অবৈধ ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে কাটার আইনগত বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং মেশিনের কাগজপত্র আছে কিনা সেটি তার জানা নেই বলে জানান।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অমান্য করে উক্ত ভূমি খেকো চক্র এবং অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মালিক মোশারফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি রক্ষা করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা ভূমি অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অতিদ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান ভুক্তভোগী সাধারণ কৃষক এবং পার্শ্ববর্তী ভূমি মালিকগন।