খুলনার তেরখাদায় এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি।


‘ইসিএল এস্তেম্বাত কোম্পানি লিঃ’নামে প্রকল্পে চাকরি নিয়ে এনজিও কর্মকর্তাদের প্রতারণার খপ্পরে পড়েছেন খুলনা তেরখাদা উপজেলার শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী।

খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার কোলা বাজারে একটি এনজিও, ইসিএল এস্তেম্বাত কোম্পানি লিঃ নামে পরিচালনা করছেন।

সে খানকার এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কর্মীদের বেতন না দেওয়া এবং ব্যাংকের চেক ও সাটিফিকেট আটক রেখে নানা ভাবে কর্মীদের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।এমনকি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর নিকট অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কর্মীরা।

ভুক্তভোগী কর্মী মোঃরাসেল, রাফেজা, মাহামুদা,ও আফরোজা আক্তার মিম,মোঃ আমির হোসেন, আমাদের প্রতিনিধিদের জানান এদের প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা বলে এনজিওর চেয়ারম্যানঃ আঃ দ্বীন ইসলাম ও তার জামাতা নির্বাহী পরিচালকঃ মোঃ জিহাদ আহম্মেদ কাফী,এই দুইজনে মিলে বিভিন্ন ইউনিয়ানে মাঠ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে সদস্য তৈরী করতে বলেন এবং তাদের কে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও আজ তিন মাস হতে চলেছে বেতন দেন না।

এক কর্মী বলেন, আমরা খেয়ে না খেয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি। বেতন আজ দিচ্ছি কাল দিচ্ছি বলে, এনজিওর কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে চরম প্রতারণা করে আসছেন।

এ বিষয়ে এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তারা বেতন না দেওয়ার বিষয়ে সত্যতা শিকার করেন এবং খুব দ্রুত এই বিষয়ের সমাধান করবে বলে আমাদের আশ্বাস দেন।

আমাদের প্রতিনিধি এনজিওর বৈধতা নিয়ে আলাপ করা কালে এনজিও লাইসেন্স এর বিষয়ে জানতে চাইলে, কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকঃ মোঃ জিহাদ আহম্মেদ কাফী আর তাদের নিয়োগ দেওয়া ম্যানেজার, বেনজীর আহম্মেদ মামুন।এই তিন জনে মিলে লাইসেন্স বিহীন এনজিও পরিচালনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ০৪/০১/২৪ ইং তারিখে জানাযায় তাদের নিয়োগ দেওয়া ম্যানেজার চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন,তিনি বলেন আমি যখন দেখলাম এদের সকল কার্যক্রম ভুয়া তখন চাকরী ছেড়ে চলে আসছি বলে তিনি জানায়।

এনজিওর মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বলেন
দুমুখো চাপের মধ্যে করতে হচ্ছে তাদের
একদিকে এনজিওর নামে তেরখাদার নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নির্দিষ্ট সময়ে লোন দিতে না পারায় টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার চাপ।
আর অন্যদিকে আমাদের বেতন না পাওয়ার কারণে আর্থিক সংকট এই দুই সংকট আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় লোন পাওয়ার উদ্দেশ্যে টাকা সঞ্চয় রাখা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে
কর্মীরা যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে,কিন্ত এখন কর্মীরা
টাকা ফেরত দিতে না পারাতে ঐ এনজিওর কর্মীরা পালিয়ে বেড়াতেছে বলে একটি সুত্র জানায় এবং সকল কর্মীদের কাজ থেকে ব্যাংকের চেক ও মুল সাটিফিকেট জমা নেন এই এনজিও কর্মকর্তারা সেই সকল চেক ও সাটিফিকেট দিয়ে মামলার হুমকি দিতেছেন এনজিও কর্মকর্তা মোঃ জিহাদ আহম্মেদ কাফী বলে জানান কর্মীরা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুত চলছে হলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *