বোরহানউদ্দিনে মাদ্রাসার নামে জেলা পরিষদের জমি লিজ পেতে মানববন্ধন

বোরহানউদ্দিন(ভোলা)প্রতিনিধি।

ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌর ৩ নং ওয়ার্ডে দারুল উলূম ক্বেরাতিয়া মাদ্রাসার দখলকৃত ৮১ শতাংশ জমি ভোলা জেলা পরিষদের কাছ থেকে পুনরায় লিজ পেতে মানববন্ধন করেছে আলেম সমাজ। সোমবার সকালে মাদ্রাসার সামনে আলেম সমাজ ও শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে সাবেক চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও
ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৩ সালে ভোলা জেলা পরিষদের কাছ থেকে ৮১ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে দারুল উলূম ক্বেরাতিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সালে ওই মাদ্রাসাটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ততকালীন সন্ত্রাসীরা। মাদ্রাসা পোড়ানোর ঘটনায় সারাদেশে আন্দোলন করে মুসলিম সমাজ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাদ্রাসাটি আবার চালিত হয়। মাদ্রাসাটির দখলে থাকা জমি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে ও জেলা পরিষদের মধ্যে মামলা চলমান ছিল। যাহা জেলা পরিষদের দেং নং-১৮২/২০০৩ ইং। মামলাটি জেলা পরিষদের পক্ষে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত মাদ্রাসাকতৃপক্ষ চালিয়ে আসছে। বর্তমানে ওই মামলাটি জেলা পরিষদের পক্ষে দো তরফা সুত্রে খারিজ হয়।
তবে ৮১ শতাংশ জমি দীর্ঘ ২০ বছর যাবত মাদ্রাসার দখলে রয়েছে। যাহা কুতুবা মৌজার জেএল নং-৪১, খতিয়ান নং-৩, দাগ নং ১৫১৩, জমির পরিমান ৮১ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, ২০০৫ সালে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদের নির্বাহী ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের সাথে সমোজতা চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে জমির মামলা নিস্পতি হলে মাদ্রাসার জন্য জমিটি স্থায়ী বন্দবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যাহা ওই চুক্তিতে ততকালীন জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী নিখিন চন্দ্র দাস এর সাক্ষর রয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসার দখলকৃত জমি পুনরায় লিজ পেতে মানববন্ধন করেন মাদ্রাসাকতৃপক্ষসহ
আলেম সমাজ।
মানববন্ধনে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মহিউদ্দিন, মুফতি রিয়াজ উদ্দিন, মাওলানা আবুল খায়ের, মাওলানা সোয়াইব মাহামুদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা সালাহ উদ্দিন সাহেব ও বিভিন্ন আলেমগনসহ মাদ্রাসার ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্যঃ- ২০০৫ সালে বিএনপি সরকার আমলে মাদ্রাসা ও মসজিদে আগুন দেয় সন্ত্রাসীরা। এতে মসজিদ ও মাদ্রাসা পুড়ে যায়। মাদ্রাসায় থাকা ৫০ জন ছাত্র আহত হয়। বিষয়টি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। টেলিভিশনেও টকশো হয় ঘটনাটি নিয়ে।
বর্তমানে মামলায় হেরে গিয়ে ২০০৫ সালে মাদ্রাসায় আগুন দেওয়া ওই সন্ত্রাসীরা জমি লিজ নিতে পায়তারা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *