
স্টাফ রিপোর্টাঃ
ভোলার আকবর পরিশ্রম করে নিজেকে পরিবর্তন করে দৃষ্টান্ত প্রমান করে দিলেন,পরিশ্রমই সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি।
আকবর জানান,আমি একজন সাধারণ ঘরের খেটে খাওয়া দিন মজুর ছিলাম।
ছোট বেলা থেকে আমি অনেক কষ্ট করেছি। আমার জম্ম স্থান ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিন দিঘলদীতে।
দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ঢাকায় থাকি।প্রথমত যখন ঢাকায় যাই তখন আমি রিক্সা ও ঠেলা গাড়ী চালাইতাম অনেক কষ্টে চলতো আমার জীবন।
রিক্সা চালানোর সুবাধে ঢাকায় এক ঠিকাদারের সাথে আমার পরিচয় হয়। আমি তাঁকে আমার কষ্টের কথা সব খুলে বলি।
তিনি আমার কথা শুনে দয়া করে আমাকে রিক্সা৷ চালানো থেকে নিয়ে তার ঠিকাদারীর কাজে তাকে সহযোগিতার করার জন্য নিয়োগ দেন আমাকে।
একপর্যায়ে আমি নিজেও ঠিকাদারীর কাজ শুরু করি তার সহযোগিতায়।
আমার কাজ ও কাজের স্বচ্ছতা দেখে অনেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা শুরু করেন আমাকে তারা কাজ দিতে থাকেন।দিন দিন আমি কাজ পেতে থাকি,কাজের লোক ও আমি বৃদ্ধি করতে থাকি।
এমবস্থায় আমার আয়ের উৎস দিন দিন বারতে থাকে আল্লাহর ইচ্ছায়।
এরই মধ্যে বেশ কিছু টাকা আমি জমা করি।
আকবর জানান,আমার ছয়টি সন্তান দুই ছেলে মাদ্রাসায় পরালেখা করে এবং তিন মেয়ে ও ছোট ছেলে রয়েছে।
তাদের সুখের কথা ভেবে দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডে জমি ক্রয় করে কোন রকম ইট বালু দিয়ে একটি ঘর করি। ঠিক তখনী ওই এলাকার কিছু দুষ্কৃতি লোক আমার ভাল থাকাটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেনা।
আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে আমাকে মানুষিক ভাবে নাজেহাল ও আমার অর্থ দন্ডি করার চেষ্টা করছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, আকবর ছেলেটা অনেক ভাল ও পরিশ্রমী দীর্ঘদিন কষ্ট করে ওই কষ্টের ফল হিসাবে আল্লাহ তাকে অর্থ দিয়াছে।
ওই অর্থ দিয়ে তার শেষ সময়ে ছেলে মেয়েদের সুখের জন্য একটি ঘর তৈরী করেন।
ওই ঘর করাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু দুষ্কৃতি লোক তাকে নিয়ে হিংসা ও তার বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করেন।
তাদের এ মন্তব্য করাটা মোটেই আমরা উচিৎ মনে করিনা।
আমরা শুনেছি আকবর ঢাকার মোহাম্মদপুর ১৬ ভেরিবাদ প্যারাচিট ভবন এলাকায় থাকে।
তার বর্তমানে ছয়টি সাইডে প্রায় চার শত লোক দিনরাত কাজ করেন। আকবর নিজেও লেবারদের সাথে দিন রাত পরিশ্রম করে থাকেন।
আকবরকে নিয়ে যারা হিংসা করে আমরা মনে করি হিংসা না করে তারা পরিশ্রম করলে। আল্লাহ চাইলে তাদেরকে ও তার চাইতে ভাল অবস্থানে রাখতে পারে।
আকবর আরো জানান, আমি আপনাদের মাধ্যমে হিংসুকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা আমাকে নিয়ে হিংসা না করে চেষ্টা করুন, আল্লাহ চাইলে আপনাদেরকে ও আরো বেশি দিতে পারেন।
আমি এলাকার সচেতন মহল ও প্রশাসনের কাছে ওই সব দুস্কৃতিদের দ্বারা আমার উপর হিংসাত্বক কালো থাবা থেকে বাচার জন্য সু’দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।