
স্টাফ রিপোর্টার।
ভোলায় পরকিয়ায় আসক্ত এক যুবক ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অপর একটি পরিবার। পরকিয়া,বখাটেপনা ও মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় জামালউদ্দিন (৩৫) নামের ওই যুবক তার স্ত্রী,শশুর,শাশুরীসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে ভোলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী বিচারিক হাকিমের আদলতে একটি মামলা দায়ের করিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ভোলা শহরতলীর বাপ্তা ইউনিয়নের চৌমুহনী নামক এলাকার বাসিন্দা সেন্টু মিয়ার মেয়ের সাথে চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সামছুদ্দিন মিয়ার পুত্র মো: জামালউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই ঢাকায় গিয়ে আলাদা দুটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে তাদের উপার্জন দিয়ে বেশ ভালোভাবেই সংসার চালাতে থাকেন। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জম্ম হয়।জামালের শশুর মুছা সেন্টু মিয়া অভিযোগ করেন,মেয়ের বিয়ের পর থেকে বেশ কিছুকাল যাওয়ার এক পর্যায়ে জামালউদ্দিন পরকিয়া,বখাটেপনা ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে জামালের শশুর মুছা সেন্টু মিয়া বহুবার মেয়ে জামাইকে সংশোধন হওয়ার অনুরোধ করলেও সে ভালোপথে না এসে তার অনৈতিক কর্মকান্ড আরো বাড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে জামাল তার স্ত্রী রুজিনা আক্তারকে শারীরীক ও মানুষিক নির্যাতন-নিপীড়নের স্টীমরোলার চালাতে থাকে। বিষয়টির সুরাহা করতে রুজিনার বাবা এলাকার গণ্যমান্যদের দারস্থ্য হলে দূষ্টু জামাল তার মা-পারু বেগমকে বাদী বানিয়ে স্ত্রী,শশুর-শাশুরীসহ মোট পাঁচজনকে আসামী করে মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন বলে ভিক্টিম সেন্টু মিয়া গণমাধ্যম’র কাছে অভিযোগ করেছেন। এদিকে সম্প্রতি বখাটে জামালউদ্দিন তার স্ত্রীকে রেখে ঢাকা থেকে কোনো এক নারীসহ ভোলার নিজ বাড়ীতে এসে আমোদপ্রমোদ করছে এমন খবর পেয়ে তার শশুর বিষয়টি চরসামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গদের অবহিত করেন। তারই জের ধরে জামাল তার শশুর সেন্টু মিয়াকে লাঞ্চিত করেছে বলে এ ভিক্টিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। জামাল তার পরকিয়া ও অপকর্ম বাঁধা দিলে স্ত্রী, শশুর-শাশুরীসহ সকলকে আরো মিথ্যে মামলা এমনকি খুন-গুম করা হবে বলেও হুমকি অব্যহত রেখেছে। সেন্টু মিয়া আরো অভিয়োগ করেন,জামালের উচ্ছৃঙ্খল কাজে বাঁধা না দিয়ে তার বাবা-মা ছেলেকে আরো উস্কে দেয়ায় সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত জামালউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগর সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী করেন।