ভোলার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নবজাতক শিশু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক নারী গ্রেফতার

ভোলার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নবজাতক শিশু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক নারী গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি, আলমগীর হোসেনঃ


করে পুলিশে সোপর্দ করেছে রোগীরস্বজনরা। গ্রেফতার হওয়া নারী পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। রোববার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির উকিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার হওয়া নারী হালিমা (৩৫) বেগম সদর উপজেলা সাচড়া গ্রামের মো. নুরনবী হোসেনের মেয়ে।
চুরি করে নিয়ে যাওয়া নবজাতকের নাম মো. রিহান (১) হোসেন। রিহান একই উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের ধনিয়া গ্রামের মো. হাসনাইন ও নিশাত তামান্না দম্পতির ছেলে। ঘটনার দিন রাতেই চুরি করে নিয়ে যাওয়া নবজাতকের বাবা এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেন। হালিমা ব্যতীত এ মামলায় অজ্ঞাত আসামিও রয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে রিহানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত ছিল। তাকে হাসপাতালের ২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মামলার বাদী হাসনাইন জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে রিহানের কেবিনের সামনে হালিমাকে ঘুরতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তিনি কেবিনে প্রবেশ করে রিহানের মায়ের সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে নবজাতকটিকে কোলে নেয়। এরপর কৌশলে শিশুটির মাকে বিষ খাওয়ানো রোগী হাসপাতালে মারা গেছে এমন কথা বলে কেবিন থেকে বের হয়ে বিষ খেয়ে মারা যাওয়া লাশ দেখতে যেতে বলেন। শিশুটির মা তাঁর কথামতো বিষ খেয়ে মারা যাওয়া লাশ দেখার উদ্দেশ্যে কেবিন থেকে বের হয়ে কিছুদূর গেলেই নবজাতককে কোলে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হালিমা। নবজাতক কোলে নিয়ে কেবিন থেকে কিছুদূর চলে গেলে অন্যান্য রোগীর স্বজনরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তিনি নবজাতক চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি নবজাতক চুরি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে এ চক্রের অন্যান্যদের তথ্য নিয়েছে। খুব দ্রুতই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে এ চক্রে জড়িত থাকা অন্যান্যদের গ্রেফতার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *