
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার উদয়পুর রাস্তা মাথার বাসিন্ধা মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, পাওনা টাকা চাওয়ায় তার উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ।
আমিনুল ইসলাম জানান,
প্রতিবেশি বন্ধু জসিম জমি ক্রয় করার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন হয়। বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করে এবং জসিম আমার কাছে ৫ লাখ টাকা ১ বছরের জন্য ধার চান।
আমি তার কষ্টের কথা ভেবে আমার মেডিসিনের ব্যাবসা করার জন্য রাখা ৫ লাখ টাকা তাকে ১ বছরের জন্য স্ট্যাম্পে সই রেখে ধার দেই।
কথা ছিল এক বছরের মধ্যে ধার নেওয়া টাকা জসিম আমাকে ফেরৎ দিবেন।
কিন্তু বছর পার হলেও জসিম আমার কাছ থেকে ধার নেওয়া ৫ লাখ টাকা ফেরৎ আর দেয়না।
আমি তার কাছে টাকা চাইলে সে বিভিন্ন তারিখ দিয়ে সময়ক্ষেপন করেন।
এক পর্যায়ে জসিম আমার টাকা না দিতে নানা তাল বাহানা করতে থাকেন।
তিনি খোঁজেন বিকল্প পথ স্মরণাপন্ন হন স্থানীয় চাঁদাবাজ ও মাস্তনদের।
ফলে জসিম আমার কাছ থেকে ধার নেওয়া পাঁচ লাখ টাকা ফেরৎ দেওয়াতো দূরের কথা সে উল্টো আমার উপর তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলা ও হেনস্থা করান, এবং হত্যার হুমকি দেয়।
আমিনুল আরো জানান,সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
আমি পালিয়েও শান্তিতে থাকতে পারছিনা।
ফেইজবুক ও লোক মারফৎ জানতে পারি জসিম ও সন্ত্রাসী মামুন আমার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে এলাকার সাধারন জনতাকে জিম্মি করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে এলাকায় মানববন্ধন করান।
সাংবাদিক ভাইদেরকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করান।
মামুন ও জসিম টাকার বিনিময়ে জনৈক নারী ভাড়া করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক শাজিয়ে ওই নারীর দ্বারা আমার বিরুদ্ধে জ্বিনের বাদশার নামে ওই নারী থেকে নাকি, আমি প্রতারনা করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছি। এমন অভিযোগ তুলে ভোলায় সংবাদ সম্মেলন করান আমার বিরুদ্ধে । অথচ এই সবের কিছুই আমি জানিনা এবং ওই নারী’কে তাকে কোনদিনও আমি দেখিনি আর চিনিনা।
আমিনুল ইসলাম এক লিখিত অভিযোগে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নের উদয়পুর দৌলতখান রাস্তার মাথা এলাকায় ঔষাধের ফার্মেসী দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। পাশাপাশি বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ভিডিও ক্যামেরা ভাড়া দিয়ে থাকেন।
স্থানীয় মোঃ আনু মিয়ার ছেলে মোঃ জসিম (আমিনুল ইসলাম) কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ৫ লাখ টাকা ধার নেয়, আর ওই টাকা যখন জসিম দিতে গরিমশি করে তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা করি।
আমার দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। যা সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছেন।
মামলা দায়েরের পরই ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন জসিম। তিনি আমাকে নানা ধরণের হুমকি দিতে থাকেন মামলাটি তুলে নিতে।
কিন্তু তার কথা মতো আমি কাজ না করায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেন আমার বিরুদ্ধে।
আমিনুল আরো জানান, স্থানীয় ছিদ্দিকের ছেলে (সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ হিসেবে এলাকায় সকলের কাছে পরিচিত) মোঃ মামুন ও আনু মিয়ার ছেলে আমার মামলার বিবাদী মোঃ জসিম আমার টাকা দেওয়াতো দুরের কথা উল্টো ৫ লাখ টাকা আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন।
তাদের দাবিকৃত চাঁদার ৫ লাখ টাকা আমি দিতে অস্বীকার করলে মামুন ও জসিম বিভিন্নভাবে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন।
আমার ওপর তারা অতর্কিত হামলা করেন,আমার উপর এ হামলা তাদের অব্যাহত থাকবে বলে হুমিক দেয়।
তাদের ভয়ে আমি এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পরিবার পরিজন সংসার ছেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
গত ৪ জুলাই চাঁদাবাজ মামুন আমাকে বলে‘তুই এখনই আমাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিবি। চাঁদা না দিলে তোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিবো।’ এ সময় আমি তাদের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মামুন ও জসিম এলোপাথাড়ী আমাকে মারধর করে এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর করে।
আমার আত্মচিৎকারে স্থানীয় আনোয়ারা বেগম, মোঃ ইউনুছ, মোঃবিল্লাল, মোঃআবদুল হামিদ, মাইনুদ্দিন, মো. হেলাল দৌড়ে এসে আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন।
এরই মধ্যে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মামুন ও জসিম আমার বোন আনোয়ারা বেগমকেও মারধর করার চেষ্টা করে।
আমার পকেটে থাকা ৭০ হাজার টাকা মামুন ও জসিম ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আমিনুল ঔষাদের ব্যবসার পাশপাশি একটি মানবাধিকার সংগঠনের দায়িত্বপালন করে আসছিলেন। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সংগঠনটি এলাকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের আস্থা অর্জন করেন। এতে ক্ষীপ্ত হন স্থানীয় চাঁদাবাজরা। তারা আমিনুলের পরিচালিত ওই মানবাধিকার সংগঠনের কার্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করছে। আমরা স্থানীয়রা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
জসিম, আমিনুলের কাছ থেকে ধার নেওয়া ৫ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো তার কাছ থেকে চাঁদাদাবি করার বিষয়টি ন্যাক্কার জনক, এ রকম কাজ করাটা জসিম,আমিনুলের সাথে ঠিক হচ্ছে না।
ভুক্তভোগি আমিনুল ইসলাম,চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী জসিম ও মামুনের অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।