মোঃ ফরিদ উদ্দিন, আজকের দেশবাণী
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে রপ্তানি শিল্প।
ইতিমধ্যে অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল মর্যাদা পেয়ে এখন উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এরিই ধারাবাহিকতায় দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে দেশের নৌ-অর্থনীতি।এক সময় বিদেশ থেকে জাহাজ আমদানি করতে হতো।
গত কয়েক দশকে জাহাজ নির্মানে অভাবনীয় সাফল্যে মিটিয়ে এখন বিশ্বের উন্নত দেশেও জাহাজ রপ্তানি করছে দেশের শিপইয়ার্ড কোম্পানিগুলো।
এরিই ধারাবাহিকতায় জাহাজ রপ্তানিতে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ।
দেশীয় আনন্দ শিপইয়ার্ড কোম্পানি ৬ হাজার ১ শত টন কন্টেইনার বহনকারী একটি বিশাল পন্যবাহী জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করে।
ইন্জিয়ান শিপিং কোম্পানি নামে যুক্তরাজ্যর একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ৩ শত ৬৪ ফুট লম্বা ৫৪ ফুট প্রস্ত ও ২৭ ফুট গভীরতার জাহাজটি বাংলাদেশ থেকে কিনে নেয়।
জাহাজ নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান জানায়,এটি দেশে নির্মিত প্রথম চালকবিহীন জাহাজ।যাহা টানা ১৬ ঘন্টা সাগরে মনুষ্যবিহীন চলতে পারবে।
শুধু তাই নয় জাহাজটি চলতে পারবে চার ফুট পুরত্তের বরফের মধ্যেও।এছাড়া ৪ হাজার ১শত ত্রিশ হর্স পাওয়ারের এলজিয়ান জাহাজটি ঘন্টায় ১২ দশমিক ৫ নটিক্যাল গতিতে চলার সক্ষমতা রয়েছে।
ড.তরিকুল ইসলাম,নির্বাহী পরিচালক আনন্দ শিপইয়ার্ড জানান, আমাদের তৈরী জাহাজ ইউরোপের তৈরী যেকোন জাহাজের গুনগত মানের সমকক্ষ।
তিনি আরও জানান,আমাদের তৈরী জাহাজ বিশ্বে যে সুনাম ছড়িয়েছে জাহাজ তৈরী করে রপ্তানিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আশাকরি।
রাজধানীর একটি হোটেলে জাহাটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্মানকারী আনন্দ শিপইয়ার্ড কোম্পানি।
চট্রগ্রামের বন্দরের গভীর সমুদ্রে থাকা জাহাজটি নৌপরিবহন মন্ত্রী অনলাইনে যুক্ত হয়ে হস্তান্তর করেন।
নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন,দেশের নৌ-খাত, বিশ্বের সুদৃড় অর্থনীতির অগ্রগতিতে জাহাজ নির্মান শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে সমুদ্র পরিবহন ও জাহাজ নির্মান শিল্প থেকে বাংলাদেশ ১৫ হাজার কোটি টাকা যোগান দেয়,যা ২০৪১ সালে ১০০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীতের লক্ষে কাজ করছে সরকার।