গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভা কর্মকর্তার চোরাই মোটরসাইকেল আটক

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার কর্মকর্তা মোঃ বিপ্লব দারোগার গত প্রায় দুই মাস আগে পৌরসভা কার্যালয়ের কাছে থেকে দিনে দুপুরে চুরি হওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সমন্বিত টিম প্রথমে খায়ের হাট রাস্তার মাথায় একটি মোটরসাইকেল মেরামতের গ্রেজ পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা খুজে পাওয়া যায়। তিনি জানান যে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের আখনজি বাড়ির শামিম আখনজি গত ৭/৮ দিন পূর্বে উক্ত মোটরসাইকেলটি রাতের আঁধারে তাহার গ্রেজে নিয়ে আসে গাড়িটির সম্পূর্ণভাবে কালার পরিবর্তন করে নতুন কালার করে দেয়ার জন্য। আট হাজার টাকা চুক্তির ভিত্তিতে গাড়িটি কালার পরিবর্তনের জন্য বোরহানউদ্দিন মহিলা কলেজের সামনে দরবেশ পেইন্টিং এ পাঠানো হয়। তাহার তথ্যের সূত্র ধরে দরবেশ পেইন্টিং নামক প্রতিষ্ঠানে এসে দেখা যায় উক্ত গাড়িটির চেসিজ পড়ে আছে এবং অন্যান্য সকল পার্টসের কালার পরিবর্তনের কাজ চলছে। গাড়িটির ইঞ্জিন নম্বর এবং চেসিজ নম্বর রেত এবং গ্রেন্ডিং মেশিনের ঘর্ষণের মাধ্যমে বিকৃত করে ফেরার দৃশ্য দেখা যায় এবং বিভিন্ন পার্টসগুলো কৌশলে পরিবর্তন করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক শফিকের সাথে আলাপ করে জানা যায় ৬০০০/-টাকার কনটাক্টে রং পরিবর্তনের জন্য রাস্তার মাথার তাহার পরিচিত এক গ্রেজ মালিক গাড়িটি তাহার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে, চোরাই মোটরসাইকেল কিনা তিনি তা জানতেন না। কারন প্রায়ই উক্ত গ্রেজ মালিক তাহার কাছে রং পরিবর্তনের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাড়ি আটকের খবর পেয়ে পৌরসভার কর্মকর্তা বিপ্লব দারোগা তাহার গাড়িটি সনাক্ত করেন। গ্যারেজ মালিকের মাধ্যমে গাড়ির কাজ শেষ হয়েছে বলে সুকৌশলে শামীম কে আনা হয় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। অল্পক্ষণের মধ্যেই শামিম আখনজি গাড়ি নিতে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। শামিম আখনজিকে আটককৃত গাড়িটির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান যে গাড়িটি জুয়ার আসর থেকে মাত্র ৩০,০০০/ ত্রিশ হাজার টাকায় ক্রয় করেন এবং এর রং পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। বিক্রেতাকে হাজির করার অঙ্গীকার করে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে চলে যান। বিকেল ৫টা হইতে রাত ০৮ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তাহার ফিরে না আসাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিলে শামিম জানায় যে বিক্রেতা ঢাকা চলে গেছে। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে গাড়িটি বিপ্লব দারোগাকে বুঝিয়ে দেয়া হয় এবং বর্তমানে গাড়িটি এর প্রকৃত মালিকের দাবিদারের কাছে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *