ষ্টাফ রিপোর্টার।
ভোলার গ্রামে (অব:) সেনা সদস্য ও তার ভাইদের পৈতৃক জমি দখল করে জোরপূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একশ্রেনীর দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ভিক্টিম কর্তৃক ভোলা সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও রহস্যময় কারনে পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অসাধু চক্রটি তাদের ভূমিদস্যুপনাকর্ম বন্ধ রাখেনি। থানায় দায়েরকৃত ওই লিখিত অভিযোগে বাদী-নিজামউদ্দিন মিয়া বলেন,বিগত ১৯ নভেম্বর সকাল ৯ টায় এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই ইউসুফ আলী অপর বখাটে-শহিদ,জসিম,শামীম'সহ ৪/৫ জনের দুর্বৃত্ত তাদের বাড়ীর ভূমিতে পূর্বে স্থাপিত বসত ঘরের সম্মুখভাগে জোরপূর্বক বারান্দা,ছাঁদ,পিলার ও সিড়ি নির্মান করেছেন। এতে ওই বাড়ীর চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে যায়। এসময় জমির মালিক দাবীদার নিজামউদ্দিন,তার ভাই আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া,ডা.রফিক ও রাসেলসহ বাড়ীর অন্যান্যরা বাধা দিলে অভিযুক্ত দুর্বৃত্তরা তাদেরকে লাঞ্চিত করেন। সন্ত্রাসীরা ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে জমির মালিকদের হত্যার চেষ্টা চালায়। ১৯ নভেম্বর রোববার সকালে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত খোর্শেদ ডাক্তারের বাড়ীতে এঘটনা ঘটে। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানকালে বাড়ীর লোকজন ও স্থানীয়রা জানান,সেখানে জোড়পূর্বক ইমারত নির্মানকালে উদ্ভূত উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা "৯৯৯" এ কল করলে ভোলা থানা হতে এসআই জাফরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর পুলিশ বিরোধপূর্ণ ভূমিতে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে যাওয়ার পরও ক্যাডাররা তাদের অবৈধ দখলসন্ত্রাস চালিয়ে যায়। এতে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হলে ভিক্টিম ফের থানা পুলিশের দাড়স্থ্য হয়েও কোনোভাবে প্রতিকার পাননি বলে জানান। ফলে তারা ঘটনাটি তাদের সংগঠন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকল্যান সংস্থাকে অবহিত করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সুরাহার পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এব্যাপরে উত্তর দিঘলদী ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেব মনসুর গণমাধ্যমকে জানান,বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। উভয়ের কাগজপত্র দেখে অতি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। অভিযুক্ত মনির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান,কাগজপত্র'র আলোকে প্রতিপক্ষরা জমির মালিক প্রমাণীত হলে তিনি নবনির্মিত স্থাপনা ভেঙ্গে সরিয়ে নিবেন। নিজামউদ্দিন গংদের উপর হামলা ও আক্রমনের চেষ্টার অভিযোগটি তিনি অস্বীকার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে স্থাপনার ঘটনা নিয়ে উভয়গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।