দৌলতখানে জমির বিরোধে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর আহত- ৩

ভোলা প্রতিনিধি।

দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মুরাদ হাওলাদার বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বসতঘরে হামলা ভাংচুর চালিয়ে তিনজনকে গুরতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মনির হোসেন অভিযোগ করে জানান, একই বাড়ির ওহাব আলীর ছেলে ইসমাইল ও ছায়েদ আলী গংদের সাথে তাদের ৪ একর ৪৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময়ে ওহাব আলীর ছেলে ইসমাইল ও ছায়েদ আলী পেশি শক্তি প্রয়োগ করে আমাদের পানবরজ থেকে বিপুল সংখ্যক পানসহ বিভিন্ন গাছ গাছালি কেটে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন ১৬ ফেব্রুআরি রাত ১০ টার সময় একইভাবে পানবরজ থেকে পান ও পুকুর থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দেয় ইউনুছ এর ছেলে মনির হোসেন। এসময় ইসমাইল ও সায়েদ আলী কিছু বুঝে উঠার আগেই ধারালো দা নিয়ে মনিরের উপর হামলা চালায়। মনিরকে বাচাতে তার স্ত্রী নুর নাহার বেগম এগিয়ে আসলে তাকে ব্যাপক মারধর করে।পরে মনিরের বসত ঘরে বগি দা দিয়ে কুপিয়ে সকল কিছু তছনছ করে দেয় । বগি দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর সময় মনিরের ৬/ বছরের নাতিন জোবেদা, ১০ বছরের নাতি শাকিব আঘাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায়। ঘটনার পর থেকে ইসমাইল ও ছায়েদ আলীর অব্যাহত হুমকির ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মনির হোসেন ও তার পরিবার। এদিকে মনির হোসেনকে মারধর করার সময় একই বাড়ির নুরুদ্দিন প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও মারধর করে ইসমাইল ও ছায়েদ আলী। এসম নুরুদ্দিনের একটি স্মার্ট ফোন বাড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে তারা।
মনির হোসেন আরো জানায়, ১ একর ৪৮ শতাংশ জমি নিয়ে ওহাব আলী গংদের সাথে দীর্ঘ বছর মামলা চলছে। দেওয়ানি মামলা নং ৩৪/৯৮। এই মামলাটি
নিম্ম কোর্টে এক তরফা বিচার করিয়ে ওহাব আলীর পক্ষে রায় নেয়। রায়ের বিরুদ্ধে জজ কোর্টে আপিল করে মনির হোসেন। ওই আপিল মামলায় সবার নামে রায় দিয়েছে জজ আদালত। ওহাব আলী
১ একর ১৮ শতাংশ জমির রায় পেয়েছে। মনির হোসেন এর পিতা ইউনুস ১ একর ২৮ শতাংশ জমির রায় পেয়েছে। পরে ওই মামলা হাইকোটে নিয়ে যায় ওহাব আলী। কিন্তু, হাইকোট মামলাটি সেখান থেকে ভোলার দেওয়ানি আদালতে পাঠিয়ে দেয়। যা এখনো চলমান আছে।
মনির আরো জানায়, ১৯৮৩ সালে তার ভাই ইব্রাহিমকে হত্যা করে ওহাব আলী। ওই মামলায় ওহাব আলির মৃত্যুদণ্ড রায় হলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন এর কাছে জীবন ভিক্ষা চাইলে সাধারণ ক্ষমা পায় ওহাব আলী। এখন তার ছেলে ইসমাইল ও ছায়েদ আলী পিতার মতো বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। অভিযুক্ত ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করলে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে সাংবাদিকদের জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *