মোঃ ফরিদ উদ্দিন, আজকের দেশবাণীঃ
নতুন রুপে সাজানো হয়েছে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা উপকুলীয় প্রাচীন চর প্রাকৃতিক লীলাভূমি কুকরি-মুকরিকে।যুক্ত করা হয়েছে রেস্টহাউজ,বনের মাঝে ঝুলন্ত সেতু,জিপ ট্রাকিং,রেস্টিং বেইজসহ নানা প্রকল্প।এসব প্রকল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো মানুষের।
একপাশে সমুদ্র আর অারেকপাশে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল,মাঝখানে বেলাভুমি।দিগন্ত বিস্তৃত অপরুপ এই দৃশ্য কুইন আইল্যান্ড অব বেঙ্গল নামে পরিচিত ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা'র দক্ষিণ আইচা থানাধীন চর কুকরি-মুকরি।
চরকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করতে ইকুট্যুরিজম প্রকল্পের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।তাড়ুয়ার দ্বীপ ও নারিকেল বাগানে পর্যটকদের জন্য ল্যান্ডিংস্টেশন,রেস্টিংব্যাঞ্চসহ নানা ধরনের সুবিধার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।এতে পাল্টে গেছে চর কুকরি-মুকরির দৃশ্যপট।
এ প্রকল্পের কারনে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের।পর্যটকদের আগমন আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক।
পর্যটকের বলেন,এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চর কুকরি-মুকরির লোকজন ছিল সমুদ্রের মাছের উপর নির্ভরশীল।স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হাসেম মহাজন সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রমে তুলনাহীন যুগান্তকারী উন্নয়নে অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধে চরটি হয়ে উঠল বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের ন্যায় পর্যটকদের পরিপূর্ণ স্থান।
২০১৯ সালে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এক কোটি টাকা ব্যায়ে ইকুট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় সাগর ও বনকে নয়নাভিরাম রুপে উপযোগ্য করে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে।২০২১ সালে সুফল পেতে শুরু করে পর্যটক ও স্থানীয়রা।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে চর কুকরি-মুকরি একটি অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন স্থান হতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলহাজ্ব আবুল হাসেম মহাজন।পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বাড়লে প্রাকৃতিক চর কুকরি-মুকরি অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।