
মাওলানা মোঃসাইফুল ইসলাম জায়েদী
কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি:
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্নিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর বারোটায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করছিলো। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। পটুয়াখালী দীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতর জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্র গোসলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকত থেকেই ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যদের পর্যটকদের সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। ঘূর্নিঝড় আঘাত হানার খবরে আতংক বিরাজ করছে ঝুকিপূর্ন বেড়িবাধের পাশে বসবাসকারীদের মাঝে। তবে জেলার ঝুকিপূর্ন ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাধের মধ্যে অতি ঝুকিপূর্ন বেড়িবাধ জরুরী মেরামত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এছাড়া ঘূর্নিঝড় মোখা মোকাবেলায় ৭০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২৬ টি মুজিব কেল্লা, ৮৭০০ সিপিপির সদস্য ও নগদ টাকা এবং শুকনো খাবার মজুদ রেখেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ঘূর্নিঝড় মোখা মোকাবেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে তারা একটি ঘূর্নিঝড় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি ও ঘূর্নিঝড় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি গঠন করেছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, ঘূর্নিঝড় মোখা পটুয়াখালীতে কিছুটা আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষনিক খোলা রয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের বন্দরের চ্যানেলে থাকা ৩ টি মাদার ভ্যাসেল ও বেশ কিছু লাইটার নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘূর্নিঝড় মোখা মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছি।
মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। তাই পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে না নামতে পারে সেজন্য টহল জোরদার করেছি। সকাল থেকেই সমুদ্র এলাকায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও কাজ করছে।