
গত ১২ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়াসহ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায়” বোরহানউদ্দিনে মানবাধিকার এর নামে অসহায় মানুষের সাথে প্রতারনা। শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
মুলত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মামুন আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। আমি তার দাবীকৃত চাদার ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ার কারণে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মামুন রাস্তার মধ্যে আমাকে আটক করেন শারীরিক নির্যাতন ও অপমান করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী চাঁদাবাজ মামুন।
আমি আমিনুল ইসলাম উদয়পুর রাস্তার মাথায় ঔষাধের ব্যবসা করি এবং একটি মানবাধিকার কমিটির সাথে জরিত হয়ে এলাকার অসহায় মানুষের বিপদাপদে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি নিস্বার্থ ভাবে।
আমার এ ভাল কাজের উদ্যোগটা এলাকার কিছু কুচক্রি মহল ভাল ভাবে মেনে নিতে পারছে না, ঠিক তখনী স্থানীয় প্রভাবশালী মামুন আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করেন।
মামুনকে আমি চাঁদা না দেওয়ায় সে আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং এলাকার বিভিন্ন নারীদেরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আমার বিরুদ্ধে ফয়সালার নামে টাকা আত্বশাৎ প্রতারনা ও ধর্ষনের চেষ্টা এসব কুৎসা রটিয়ে মিথ্যা মামলা মানববন্ধন ও পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমার অর্থদন্ডি এবং সমাজে আমাকে মানহানীর চেষ্টা করছে চাদাবাজ মামুন।
চাঁদাবাজ মামুনের ভয়ে আমি আতঙ্কে ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছি। বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উদয়পুর দৌলতখান রাস্তার মাথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আমি ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সমাজের এই সব দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে বিচার দাবী করছি। আমার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারন জনতার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে জিম্মি করে মানববন্ধন ও সাংবাদিক ভাইদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করান।
বোরহানউদ্দিনে মানবাধিকার এর নামে অসহায় মানুষের সাথে প্রতারনা এই শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। সুতারাং আমি উক্ত শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদের প্রতি তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।
“বিনীত”
(মোঃ আমিনুল ইসলাম)
এক লিখিত অভিযোগে ব্যবসায়ী মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নের উদয়পুর দৌলতখান রাস্তার মাথা এলাকায় ঔষুধের ফার্মেসী দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। এছাড়াও আমি বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিডিও ক্যামেরা ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছি। স্থানীয় মোঃ আনু মিয়ার ছেলে মোঃ জসিম আমার কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত করে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেয়। কিছুদিন পর জসিমের কাছে ধার নেওয়া টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে টাকা ফেরত দিবে না বলে হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়েও আমি কোন সমাধান না পেয়ে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করি। যা বর্তমানে আদালতে চলমান ও সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছেন। এদিকে হঠাৎ করে স্থানীয় ছিদ্দিকের ছেলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ মোঃ মামুন ও আনু মিয়ার ছেলে মোঃ জসিম আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে আমি অস্বীকার করলে মামুন ও জসিম বিভিন্নভাবে আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে। তাদের হুমিকর ভয়ে অনেক সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি।
ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গত ০৪-০৭-২২ইং তারিখে চাঁদাবাজ মামুন ও জসিম আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফার্মেসীর কাছে এসে দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। মামুন আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে তুই এখনই আমাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিবি। চাঁদা না দিলে তোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিবো। এসময় আমি তাদের দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মামুন ও জসিম আমাকে এলোপাথাড়ী মারধর করে এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর চালায়। আমার আত্মচিৎকার শুনে আনোয়ারা বেগম, মোঃ ইউনুছ, মোঃ বিল্লাল, মোঃ আঃ হামিদ, মাইনুদ্দিন, মোঃ হেলাল এগিয়ে আসে। এসময় মামুন ও জসিম আমার বোন আনোয়ারা বেগমকেও মারধর করে চেষ্টা করে। আমার পকেটে থাকা প্রায় ৭০ হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগি আমিনুল ইসলাম চাদাবাজ মামুন ও জসিমদের অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।