
মোঃ ইব্রাহিম,জেলা প্রতিনিধি।
লেখক মোঃ ইব্রাহিম করিম খলিউল্লাহ।
দেশ ও সমাজের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ বা অন্য পেশাজীবীরা যা করতে পারেন না সাংবাদিকেরা তা পারেন।
অর্থাৎ সাংবাদিকদের হাতে রয়েছে অনেক ক্ষমতা। সাংবাদিকতা একটা নীতি নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন পেশা, যা মর্যাদাসম্পন্ন। সাংবাদিকরা বিপদে মানুষকে সাহায্য করতে পারেন, পারেন সমাজের যে কোন অন্যায় অসংগতির প্রতিবাদ করতে। আর এসব কারণেই ছোটবেলা থেকে আমার সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহ।
সাংবাদিক দের কোনো রাজনীতি থাকা প্রয়োজন নেই, তাদের প্রয়োজন এক মাত্র নীতি,তাদের নীতি এমন হওয়া প্রয়োজন যাতে সকল অপরাধ কাড়ী তাদের নীতির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়।
আজ এ লেখায় আমার প্রিয় সাংবাদিকতা নিয়েই কিছু কথা বলবো। এসব আমার নিজস্ব ভাবনা, কাউকে আঘাত করতে নয়। গুরুত্বপূর্ণ এ পেশার কিছু অসংঘতি।
আবার এমন প্রশ্নও করা যেতে পারে যে- ঢাকার কয়জন সাংবাদিক ওয়েজবোর্ডের আওতায় বেতন পান? ঢাকার কয়টি পত্রিকা ওয়েজ বোর্ডের আওতায় বেতন দেওয়া হয়? এবং অনেক সাংবাদিক কোনো বেতন পায়না, তারা জীবনের যুকি নিয়ে কাজ করে, তবে তাদের নিরাপত্তা কি?
এখন আর দেশে কোন প্রথিতযশা সাংবাদিক জাতির, সমাজের অভিভাবক হিসেবে গড়ে উঠছে না। কিন্তু কেনো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন
দেশে অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য বড় হচ্ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনসহ অনলাইনের সংখ্যা। তবে সাংবাদিকতার মান কতটুকু বেড়েছে? এর ব্যাখা নাই দিলাম।
বর্তমানে, বেশিরভাগ সংবাদপত্র বা টেলিভিশন বিভাগীয় শহর ছাড়া বেতন ভাতা দেন না। অধিকাংশ জেলা শহরগুলোতে সাংবাদিকদের কোন বেতন দেওয়া হয় না।
সময় এসেছে এসবের পরিবর্তনের। সাংবাদিকতা পেশায় সাংবাদিক কারা তা চিহ্নিত করা হোক। এটাকে একটি অন্যান্য বিশেষায়িত পেশার মত সনদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হোক।
যারা কোন দিন ওয়েজবোর্ডের আওতায় বেতন পাননি বা সাংবাদিকতা করে জীবিকা নির্বাহ করেননি, তাদের কি হবে? অনেক সংবাদ কর্মী দেশের জন্য কাজ করে তাদের কি হবে? সরকার যদি সাংবাদিক দের প্রতি সু দৃষ্টি না দেয়, তা হলে সাংবাদিকদের সামনে আরো কঠিন বিপদ অপক্ষো করছে। আমি মনে করি সরকার সাংবাদিক দের প্রতি সহযোগিতা করা দরকার।
সাংবাদিক দের কোনো রাজনীতি থাকা প্রয়োজন নেই, তাদের প্রয়োজন এক মাত্র নীতি নিয়ে কাজ করা।