
মোঃ ফরিদ উদ্দিন, আজকের দেশবাণী।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ আগামী ২৪ শে এপ্রিল ২০২৪ ইং।এমতাবস্তায় সংবিধানের ২২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁর মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পুর্ববর্তী নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে শুন্যপদ পুরনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তাই সেই হিসেবে আগামী চব্বিশ ফেব্রুয়ারী থেকে তেইশ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।কিন্তু যেহেতু আব্দুল হামিদের আর রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ সম্ভাবনা কোনটাই নেই সেজন্য পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন এ নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
সাথে সাথে নতুন অনেক প্রার্থীর কথা উঠে আসছে।তবে তাদের সবাই আওয়ামী লীগ ঘরনার বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।এর বাইরে কারো আসার সূযোগ নেই।কারন এক সময় রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীনের কথা আওয়ামীলীগ কখনো ভুলবেনা।
উল্লেখ্য মোঃআব্দুল হামিদ ২০১৩ সালের চব্বিশ এপ্রিল প্রথমবারের মত রাষ্ট্রপতি হিসেবে অভিষিক্ত হন।এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে বিজয়ী হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি হন, আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্নীয় মোঃ জিল্লুর রহমান।
কিন্তু মোঃ জিল্লুর রহমানের মেয়াদের শেষ দিকে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।আর সে অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি থেকে তৎকালীন জাতীয় সংসদের স্পীকার আব্দুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এরপর প্রথম মেয়াদ শেষ হলে পূনরায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ পদে অভিষিক্ত হন।যা এর আগে কোন রাষ্ট্রপতির ভাগ্যে জোটেনি।দেশে এ সর্ব্বোচ্চ পদে কে কিভাবে নির্বাচিত হবে এবং কারা নির্বাচিত করবেন তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধানের ৪৮ এর ১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।৫০ এর ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,রাষ্ট্রপ্রধান রুপে তিনি রাষ্ট্রের সব ব্যাক্তির উর্ধ্বে স্থান লাভ করবেন।
সংবিধানের ৪৮ এর চার অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,কোন ব্যাক্তি রাষ্ট্রপতি হইবার যোগ্য হইবেননা যদি তিনি ৩৫ বছরের কম বয়স্ক হন,সংসদ সদস্য নির্বাচিত না হন,অথবা কখনও এই সংবিধানের অধীনে অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতি পদ হইতে অপসারণ হইয়া থাকেন।
সংবিধানের ৫০ এর ১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,এই সংবিধানের বিধানবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যভার গ্রহনের তারিখ হইতে পাঁচ বছর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।তবে শর্ত থাকে যে,রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ব্যেও তাহার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহন না করার পর্যন্ত তিনি স্বীয়পদে বহাল থাকিবেন।
সংবিধানের ৫০ এর ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,একাধিক ক্রমে হোক বা না হোক দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোন ব্যাক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।এবং ৩ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী স্পিকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে রাষ্ট্রপতি স্বয়ং পদত্যাগ করতে পারিবেন।
সংবিধানের ৫০ এর ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাহার কার্যভারকালে সংসদ সদস্য থাকিবেন না এবং কোন সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইলে রাষ্ট্রপতিরুপে তাহার কার্যভার গ্রহনের দিনে তাহার আসন শুন্য হইবে।
নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩ এর ১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারনে উক্ত পদ শুন্য হইলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী ৯০ হইতে ৬০ দিনের মধ্যে এ পদ পূরনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে সংসদের দ্বারা তিনি নির্বাচিত হয়েছেন সেই সংসদের মেয়াদকালে রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ হইলে সংসদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অনুরুপ শুন্যপদ পূর্নকরিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবেনা।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদের পর পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আলোচনায় অনেক নাম আসলেও বিগত দিনের উদাহরণ থেকে শীর্ষমহল থেকে যাকেই মনোনীত করা হবে তিনিই হবেন এ পদের উত্তরাধিকারী।
সেক্ষেত্রে একক প্রার্থী হওয়াটাই স্বাভাবিক। তখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।সে নামের ব্যাপারে এখনও তেমন আলোচনা নেই বললেই চলে।তবে কারো কারো মতে আবার ভারতের মত একজন নারী রাষ্ট্রপতি হতে পারেন বাংলাদেশেও।
আর যদি সেটা হয় তবে জাতীয় সংসদের বর্তমান স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর কথা আসে।যে ভাবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন
আরেকজন ব্যাক্তি সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাজ করা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করা ব্যাক্তি জানাযায়,যিনি গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছেন,তিনি হলেন,ড. মশিউর রহমান।