বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের কমর উদ্দিন বাড়ির আপন ছোট ভাই আবুল কাশেম, পিতা মৃত খোরশেদ আলম কে ফাঁসাতে মারিয়া আপন বড়ো ভাই আবুল হোসেন।
ছোট ভাই আবুল কাশেমের অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, আবুল কাশেম জমি খরিদ করার জন্য বড় ভাই আবুল হোসেন কে ৩০ শতাংশ জমির দাম অনুযায়ী ১৭/০৮/২০১২ ইং তারিখে তৎকালীন দাম অনুযায়ী ২০০,০০০ টাকা বুজিয়া দেন, যার প্রমান স্বরূপ উপস্থিত সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে স্টাম্পে অঙ্গীকারনামা রাখিয়া দেন।
তখন বড়ো ভাই আবুল হোসেন, ছোট ভাই আবুল কাশেম কে ১৩ শতাংশ জমি বুজাইয়া দেন, কিন্তু জমির দলিল দেই দেই করে গুরাচ্ছেন। আবুল কাশেম এক পর্যায়ে বড়ো ভাই কে বলেন,আপনি ১২ বছর ধরে আমাকে দলিল দেই দেই করে গুরাচ্ছেন এখন আমাকে দলিল দিয়ে দেন, কিন্তু উনি জমির দলিল দিচ্ছেন না, তাই আমি বিষয়টি আমাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার কে জানাই, তখন জসিম উদ্দিন হায়দার আমাদের উভয়কে ডাকেন, ডেকে আমার বড় ভাই আবুল হোসেনকে বলেন, আবুল তুমি জমি বিক্রি করেছো সত্যি, যাইহোক তুমি ওনাকে ১২শতাংশ জমি দিয়ে দাও, চেয়ারম্যান সাহেব তার আদালতে আমাদেরকে ১৩ শতাংশ জমি দেওয়ার জন্য রায় দেয়, পরবর্তীতে আমরা বিষয়টা নিয়ে থানায় যাই,আমাদের উভয়ের সালিশের উপস্থিতিতে আমাদেরকে ১৩ শতাংশ জমির রায় দেয়।
আমার বড়ো ভাই আমাকে ১৩ শতাংশ জমি দখল দিয়েছে ঠিকই কিন্তু উনি আমাকে এই ১৩ শতাংশ জমির দলিল দিচ্ছেন না।
এক পর্যায়ে যখন আমরা বাড়িতে বেড়াইতে আসি তখন আমার বড় ভাইকে আমাদের বাড়ির দরজায় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই তুমি আমাকে দলিলটা দিচ্ছ না কেন, আমরা আজ আছি কাল নেই আমাদের পোলাপান এটা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করবে, তুমি দলিলটা দিয়ে দাও, তখন ভাই বলে কিসের দলিল আমিতো কোন দলিল দিব না, তখন তারা আমাদের প্রতি আতর্কিত হামলা করে আমার ছেলেকে রক্তাক্ত করে, পরবর্তীতে আমরা ছেলেকে হসপিটালে ভর্তি করি,অনেকে আমাকে বলছে মামলা করেন, আমি করি নাই, কিন্তু ওনারা আমাদেরকে মেরে আবার আমাদের নামে কোটে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। আমরা এখন সেই মিথ্যা মামলার শিকার।
আমরা নাকি তার ঘর লুড করেছি তার স্ত্রী তার মেয়ের কানের স্বর্ণ লুটপাট করেছি, যখন এখানে মারামারি হচ্ছিল তখন তার বউ মেয়ে কেউ ছিল না, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছেন আমাদের।
এ বিষয়ে একই বাড়ির মুরব্বি মোঃ হানিফ বলেন, আমরা জানি আবুল তার ছোট ভাই আবুল কাশেম থেকে টাকা নিয়েছেন তখন, আবুল হোসেনের শ্বশুরবাড়ি জমি নিয়ে তাদের ভিতরে ঝামেলা ছিল এজন্য দলিল দিতে পারেন নাই, আবুল বলছেন আমার শ্বশুর বাড়ির জমির ঝামেলাটা মিট হোক তখন আমি জমির দলিল দিব কিন্তু এখন যতটুকু দেখেছি জমির দলিল দিচ্ছে না,এক পর্যায়ে আমাদের বাড়ির দরজায় তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবুল হোসেনের ছেলেরা আবুল কাশেম ও তার ছেলেদের উপরে হামলা করে দেশীয় অস্ত্রসহ, তখন আমরা আবুল হোসেনের কাছ থেকে দা ছেনি উদ্ধার করে সেগুলো আমরা সংরক্ষণের রাখছি। এখন শুনি আবার আবুল হোসেন তার ছোট ভাই আবুল কাশেম ও তার ভাতিজাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, আসলে বিষয়টা নিয়ে আমরা এলাকার মুরুব্বি ও এই বাড়ির মুরুব্বি হিসেবে আমরা মর্মাহত এর বিরোধ মিটে যাক।
স্থানীয় সোলাইমান পাটোয়ারী বলেন, আমি এই বিরোধের একজন সালিশ, আমাদের পাঁচজন ও চেয়ারম্যান সহ ইউনিয়ন পরিষদে বসি, তখন আবুল হোসেনের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি যে তার শ্বশুরবাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় তার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক টাকা পয়সা নিয়েছেন, তার ছোট ভাইকে বলেন যেন আমি তো তোর কাছ থেকে অনেক,টাকা-পয়সা নিয়েছি, তুমি তো আমাকে অনেক টাকা-পয়সা দিয়েছো তুমি আমাকে আরো কিছু টাকা দাও, প্রয়োজনে তুমি আমার ওই জমিটা নিয়ে যাও তখন আবুল কাশেম নাকি এই জমিটা নিয়ে নিয়েছেন কিন্তু দলিল দেয় নাই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ সালিশে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হই আমাদের উভয় সালিশের মধ্যে ১২ শতাংশ দিয়ে দিতে চেয়ারম্যান বলেন, পরবর্তীতে চেয়ারম্যান সাপের পরামর্শে আমরা থানা পর্যন্ত যাই তখন থানায় তারা বলছে যে যেহেতু স্থানীয় পর্যায়ে এরকম হয়ে গেছে, তাহলে আপনারা ১৩ শতাংশ জমি দিয়ে দেন তখন লিখিত সালিশ নামা হয়, যেখানে ১৩ শতাংশ জমি জমি আবুল হোসেন তার ছোট ভাই আবুল কাশেমকে দিয়ে দিবে,
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাই আবুল কাশেম এর কাছ থেকে টাকা নিয়েছি সত্য, তবে কন্ডিশনে জমি রেখে।
সে স্টাম্প জাল করেছে, এ বিষয়ে তারা ইউনিয়ন পরিষদে মামলা করলে আমি ইউনিয়ন পরিষদে যাই।চেয়ারম্যান আমাকে ১৮০,০০০ হাজার টাকা দিতে বলেন, তারা মানেন না, তারা থানায় অভিযোগ করায়, থানায় ডাকলে আমি যাই, সালিশ গন ১৩ শতাংশ জমি দিতে বলেন, এটা আমি মানি না আমি টাকা নিয়েছি টাকা দিবো।
বড় মানিকা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার, ওবায়দুল হক রাব্বি বলেন, তারা উভয়ই আমার প্রতিবেশী কাছের আত্মীয়, আমি যতটুকো আবুল হোসেন তার ছোট ভাই আবুল কাশেম এর কাছে জমি বিক্রি করেছে।কিন্তু দলিল দেই নায়,এ বিষয় মিমাংসা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার সহ সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, আবুল হোসেন তার ভাই আবুল কাশেম কে ১৩ শতাংশ জমি দলিল দিয়ে দিবে, এটা আবুল হোসেন মানলেও পরবর্তীতে আর মানেনি, তারা ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ না মেনে আবার থানায় গিয়েছে থানায় সালিশ গন রায় দিয়েছে যে আবুল হোসেন তার ভাই আবুল কাশেম কে ১৩ শতাংশ জমি দলিল দিবে, কিন্তু এখন দলিল দিচ্ছে না।
আবার শুনি আবুল হোসেন তার ভাই আবুল কাশেম এর নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, আমরা চাই এই সমস্যার সমাধান হোক