ডেস্ক নিউজঃ
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পশ্চিমা গ্রামে এমন ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায় ।
জানা যায়, বাদী-বিবাদী পরস্পর চাচাতো ভাই,এবং পূর্ব থেকে বিবাদীদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ছোটখাটো ঝুট-ঝামেলা হয়ে আসছে ।
বিবাদপুর্ন জমিটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির মৌসুমে পানি জমে ফসল নষ্ট হয়ে যায়, বাদি মুকুল সেই জমিতে মরিচ আবাদ করে ও বিবাদী গনের রয়েছে পানের বরজ। যেহেতু বর্ষাকালে পানি জমে থাকে,এতে উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দুটি জমি পাশাপাশি তাই ক্যানাল কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হলে উভয় জমির মাঝামাঝি ক্যানাল কাটার ব্যাপারে উভয় সম্মত হয়ে মরিচ ক্ষেত্রের দক্ষিণ পাশ হতে কিছু পানের বরজের উত্তর পাশ হতে কিছু জমি নিয়ে একটি ক্যানেল তৈরী করা হয়।
কিছুদিন পরে, আসামীরা ক্যানেলটাকে তাদের জমির মধ্যে নিয়ে ক্যানালে বাহিরে দিয়ে বেড়া দেয়। যার জন্য মরিচ ক্ষেতে পূর্বের মতো পানি জমে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত পানি বের হতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার দিন, মুকুল তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়ীর উত্তর পাশে মাঠে মরিচক্ষেতে গিয়ে জলাবদ্ধ মরিচক্ষেত দেখানোর জন্য ২নং আসামী টিটুল কে ডাক দেয়, যে কিনা তখন নিজের পানের বরজে কাজ করছিলো
ভিকটিম মুকুল বেড়া সড়িয়ে নিতে অনুরোধ করে। কিন্তু আসামী টিহুল বেড়া না সরিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। ঐসময় ০১ নং আসামী পলাশ ও ০৩ নং আসামী ছালাম অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, নিষেধ করতেই সকল আসামীরা একযোগে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র তথা ধারালো হাসুয়া লোহার পাইপ, বাঁশের লাঠি ইত্যাদী নিয়ে ঘটনাস্থল ভেড়ামারা থানাধীন পশ্চিমা সাকিনস্থ মরিচ ক্ষেতের মধ্যে অনধিকারে প্রবেশ করে ০৩ নং আসামী ছালাম বলে যে ধর শানারে জীবনে শেষ করে দে। এই হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে আসামী পলাশ ও টিটুল তাদের হাতে থাকা হাসুয্য নিয়ে আক্রমন করে।
আসামী পলাশ তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে খুন করার মুকুলের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়। মুকুল প্রাণ বাঁচাতে কাঁত হলে উক্ত কোপে পেটের বাম পাশে লেখে পেটে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম প্রাপ্ত হয়ে পেট যতে ভুড়ি বের হয়ে আসলে মুকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন পাশে থাকা ০২ নং আগামী টিটুল তার হাতে থাকা ধারালো হালুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মুকুলের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দিলে মুকুল তার বাম হাত দিয়ে কোপটি ঠেকানোর সময়ে ঝোপটি বাম হাতের কব্জির উপরে লেগে গুরুতর গ কাটা রক্তাক্ত প্রথম প্রাপ্ত হয়। মুকুল মরিচ ক্ষেতে পড়ে থাকাবস্থায় ০১ ও ৩২ নং আসামী তাদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে মুকুলের শরীরে এলোপাথারীভাবে কোপাতে থাকে ফলে মুকুলের পিঠে পিঠের নিচে, পেটের পাশে ও কোমরের নিচে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়, স্বামীর এই অবস্থা দেখে তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে গেলে আসামী টিটুল পানের বরজের বাঁশের খুটি দিয়ে মুকুলের স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে ফোলা জখম করে, চুলের মুঠি চেপে ধরে এলোপাথাড়ি চড়-ঘামড়, কিলঘুষি ও লাথি মেরে গালে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক কালশিরা ও নীলাফোলা জখম করে। ভিকটিম মুকুল ও তার স্ত্রীর বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার, আর্তনাদ করলে আশপাশে থাকা সাক্ষী-০১। মোঃ ছবি (৫২), পিতা-মৃত খোরশেদ প্রামানিক, ০২ মোঃ মালেক (৪৫), পিতা-মোঃ মতলের প্রামানিক, ০৩। মোছা: জুলেখা খাতুন (৪৪), স্বামী- মোঃ ছবি, সর্বসাং-পশ্চিমা, থানা-ভেড়ামারা, জেলা- কুষ্টিয়াগণ সহ স্থানীয় লোকজন সবাই এগিয়ে আসলে আসামীগণ তাদেরকে খুন জখমের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে উপস্থিত স্বাক্ষী ও স্থানীয় লোকজন একে অপরের সহযোগীতায় উদ্ধার করে গুপ্ত পথচলিত সিএনজি যোগে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভেড়ামারায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করেন।
এদিকে ভিকটিম মুকুলের স্ত্রী জানাই, আমি বাদী হয়ে আমার স্বামী ও আমার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলার বিচারের জন্য মামলা করেছি, এটা জানতে পেরে আাসামীগন আমার স্বামীর নামে তখন মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা করে, আমার স্বামীর নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করে, যখন কিনা আমার স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসায় ভর্তি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এটা বড়ই আজগবী ব্যাপার যে মেরেছে উল্টে সেই আবার মামলা করেছে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং সঠিক তথ্য সাপেক্ষে বিচারের দাবি করে এলাকাবাসী।