মোঃ জিয়াউল রহমান,ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা সদর উপজেলাধীন পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে রোদের হাট গ্রামের আলুখেতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন দুই কৃষক আব্দুর রহমান, মোঃ নিরব। এ সব খেতে উৎপাদিত সবজির মধ্যে রয়েছে লাউ, বেগুন, পেঁয়াজ, শিম, মুগ ডাল, আলু, কুমড়া, টমেটো ও কাঁচা মরিচ। খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। এ চিত্র ভোলা সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা চর আনন্দ পাট ৩ রাজাপুর ও পশ্চিম ইলিশা সহ কয়েকটি গ্রামের। জানা গেছে, সদর উপজেলা গ্রামের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজে নিয়োজিত। নিজের জমি বা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সবজির আবাদ করছেন চাষিরা। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলন বেশ ভালো। শীতকালীন সবজি আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। সবজি চাষ করে অনেকের ভাগ্য বদলেছে।
চলতি মৌসুমে ফলনে কোন বিপর্যয় না থাকায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশা চাষিদের মধ্যে। চর আনন্দ পাঠ ৩ গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, ২ একর ৫০ শতাংশ জমিতে আলু খেতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এবং ২ একর ৩০ শতাংশ জমিতে রেখা, শসা, ক্যাপসিকাম মরিচ, ঝিঙ্গা, করোল্লা, মিষ্টি কোমর, সহ নানান সবজি চাষ করেছি। উৎপাদন খরচ বাদে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে এখন ভরা মৌসুমে জাঁক জমকট ভাবে কেনা বেচা চলছে চাষীদের।
কৃষি মোঃ নিরব বলেন, ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে আলু, চাষ করেছি। খেতে ফসলের অবস্থা ভালো। ফলন ঠিকঠাক হলে ভালো লাভ হবে।
কৃষক মোহাম্মদ ইউসুফ বেপারি জানান, শীতকালীন সবজিতে কোনো পোকার আক্রমণ নেই। আবহাওয়া অনুকূলে, তাই ফলনে বিপর্যয় হবে না। বাম্পার ফলন হবে। কৃষকেরা খুশি। চর আনন্দ গ্রামে অনেক জায়গায় আলু চষিরা
দুশ্চিন্তা করেছে ফসল বেশি ভালো না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, পূর্ব ইলিশা চর আনন্দ গ্রামে চলতি বছর সবজির ভালো ফলন হয়েছে এবং আলুচাষিদের ভরা মৌসুম রয়েছে।
কৃষকদের বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে। এখানকার সবজি বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়।