
মোঃ ফরিদুল ইসলাম,ভোলা জেলা প্রতিনিধি।
মৎস্য কর্মকর্তা রাজাপুর ইউনিয়নে অসহায় মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত গরু দেন। আসলে কি সঠিক ভাবে অসহায় মানুষে গরুগুলো পেয়েছেন? নাকি সাবেক ইউপি সদস্যদের হাতে গরুগুলো বন্দী হয়ে আছে। ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অসহায় জাকির অভিযোগ করে বলেন, গরু দিয়েছেন সরকার মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে গরু দেওয়ার পর থেকে
৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবু হাওলাদারের ছেলে মোঃ জব্বর হাওলাদার, ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। অসহায় জাকির টাকাও দিতে পারেননি, জব্বর হাওলাদার গরু দেননি। রাজাপুর ইউনিয়নের এমন একাধিক অভিযোগ
“দৈনিক সংবাদ সারাবেলা ও স্বাধীন বাংলা নিউজের জেলা প্রতিনিধির”
কাছে আসলে গত ১৪/৭/২০২৩ ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবু হাওলাদারের ছেলে মোঃ জব্বর ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন ওই অসহায় জাকির এর কাছে। ওই ব্যক্তি টাকা না দিতে পারলে সাবেক ইউপি সদস্য আবু হাওলাদারের ছেলে গরু দেননি জানান।
জাকিরের সরকার বরাদ্দকৃত গরু সাবেক ইউপি সদস্যর বাড়িতে পুকুরের পাহাড়ে বেঁধে রেখেছেন দেখা যায়। অবশেষে আজকে জাকিরের গরুর বিষয়ে জানতে মোটো ফোন করেন “সাংবাদিক মোঃ ফরিদুল ইসলাম” জাকির বলেন, জব্বার হাওলাদার এই গরু আনতে বলে ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমার কাছ থেকে আমরা এলাক বসবাস করতে হলে তাকে ২৮ হাজার টাকা দিতে হবে এবং টাকা দিয়ে আমি গরু নিয়ে এসেছি তিনি আরও বলেন, টাকা না দিলে আমার প্রাণের ঝুকেও রয়েছে সেজন্য আমি টাকা দিয়েছি জব্বর হাওলাদারকে।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য আবু হাওলাদেরকে বিষয়টি জানালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গরু আমি দেখেছি এবং গরু আমার বাড়িতে। তার কাছে আরও জানতে চাইলে গরুর বিষয় তিনি বলেন, আমার ছেলে জব্বারকে জিজ্ঞেস করেছি বলছে আমি গরু কিনে এনেছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের কাছে সাবেক ইউপি সদস্যর ছেলের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন, অন্যের জায়গা আবু হাওলাদার আত্মসাৎ করে। ছেলে মানুষের উপর বাবার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, বিভিন্ন সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদাবাজি করে এবং তারা এমন অসংখ্য অভিযোগ করেন, আবু হাওলাদার ও তার ছেলে জব্বারের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জব্বর হাওলাদারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে, না এসে বহু তালবাহানা দেখিয়ে বাগান বাগিচার ভিতরে গিয়ে সাংবাদিকদের কে মুঠোফোনে বলেন, জাকির আমার কাছে গরু বর্গা দিয়েছে, আমি গরু বর্গা হিসাবে পালি। এবং টাকার কথাও সম্পূর্ণ তিনি অস্বীকার করেছেন।