
স্টাফ রিপোর্টার।
দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ৪নং ওয়ার্ডে গৃহবধুর উপর কারণে-অকারণে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়াগেছে।
ফারজানা বেগম অভিযোগ করে জানান, কবির ফরেষ্টারের ছেলে আজমল হোসেন রাজু আমার স্বামী। দীর্ঘ ৬ বছর পুর্বে আমাদের শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয়।
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আমার স্বামী রাজু আমার উপর অমানবিক নির্যাতন করেন।
আমি তার অত্যাচার সইতে না পেরে তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
সু’চতুর আমার স্বামী রাজু মামলা থেকে বাচার জন্য আমাকে কৌশলে তার ঘরে নিয়ে যায়,মামলা থাকা অবস্থায় আমি তার সংসার করি তবে এখনও সে তার সভাব পাল্টায়নি অযতাই কারনে-অকারনে আমার উপর নির্যাতন করেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ইং ভোলা বিএনপির সম্মেলনে যাওয়ার প্রস্ততি নেয় তিনি। আমি তাকে বিএনপির সম্মেলনে যেতে বাধা দেই।
সেই সু’ভাধে আমার স্বামী রাজু ওই দিন সন্ধা ৭ টার সময় আমার ৪ বছর বয়সের মেয়ের সামনে আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে,আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে যাই।
একটু পরে যখন আমি হুশ ফিরে পাই তখন আমার স্বামী রাজু আমাকে ও আমার ৪ বছর বয়সের মেয়েটিকে রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে বের করে দেয়। মেয়েটিকে নিয়ে আমি রাতে অজানা এক বাড়ীতে আশ্রয় নেই। সকালে লোক মারফৎ আমার বাবার কাছে খবর পাঠাই। খরব পেয়ে আমার বাবা আমাকে চিকিৎসার জন্য খায়েরহাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। ফারজানা আরো বলেন আমার স্বামী রাজু প্রথমে আমাকে মারার সময় বলে তোকে মারি মেরে ফেলবো আমি,সত্যিই সে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে তবে আমি প্রানের জোরে বেচে যাই।
এলাকাবাসী জানান,লম্পট রাজু ছেলেটা পরোকিয়ায় আশক্ত মোবাইলে মেয়েদের সাথে কথা বলে আর সময় অসময়ে তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন করেন।
এব্যাপারে রাজুর বক্তব্য জানতে গিয়ে এলাকায় রাজুকে খুজে পাওয়া যায়নি।
তবে ভুক্তভোগি ফারজানা বেগম তার স্বামী রাজুর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সুখে শান্তিতে তার সংসার করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সু’দৃষ্টি কামনা করেন।