
ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডে, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা’বশত ঘর ভাংচুর করে দুই লক্ষ টাকাসহ ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় মালামাল লুট করে নেওয়ার অভিযোগ।
ভুক্তভোগি মোঃ সালাউদ্দীন জানান,কয়েকদিন আগে আমার ছেলেকে সন্ত্রাসী মাকসুদ বাজি ধরতে বলে আমার ছেলে তার কথায় বাজি ধরতে রাজি নয়। এক পর্যায় মাকসুদ আমার ছেলেকে বাজি ধরতে বাদ্য করে। ওই বাজিতে আমার ছেলে হেরে যাওয়ার পর মাকসুদ তার কাছে টাকা দাবী করেন।
আমার ছেলে টাকা দিতে না পারায় মাকসুদ আমার ছেলেকে চায়ের কাপ দ্বারা বুকে আঘাত করে এবং তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমার ছোট ছেলেটির চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী দৌড়ে গেলে তাকে নির্যাতন করার চেষ্টা করে। সন্ত্রাসী মাকসুদ বলে তোকে পাহাড়ীদের মত মেরে খেয়ে পেলবো। তার ভয়ে আমি ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। সেও আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টি উভয়ের মধ্যে মিমাংসা হয়ে যায়। কু’চক্রী মাকসুদ এর পরেও ক্ষান্ত হয়নি সে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আমরা পুলিশের ভয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে যাই। পুলিশ তদন্ত করে যাওয়ার পর সন্ত্রাসী মাকসুদসহ নাগর মিলে আমার বশত ঘর ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ঘরের আলমিরাতে থাকা স্বর্ন ও দুই লক্ষ টাকা তারা নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আমরা আমাদের বশত বাড়ীতে আসলে তারা আমাদেরকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। একালাবাসী জানান,মাকসুদ সত্যিকারের একজন সন্ত্রাসী অযথাই এলাকার সাধারন মানুষের সাথে বিরোধ করছে। এব্যপারে মাকসুদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি তাদের ঘর ভাংচুর করিনি সে নিজেই তার ঘর ভাংচুর করেছে।
ভুক্তভোগি সালাউদ্দিনের পরিবার সন্ত্রাসী মাকসুদের অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।