আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলায় জায়গা জমির পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাঙ্গাসীয়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন ও কোহিনুর গংদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাঙ্গাসীয়া গ্রামের কাশেম হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোঃ শাহে আলম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ আট বছর আগে রিনা ও নাহার বেগম থেকে মোঃপূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগকাশেম শনি, শফিক মিঝি, কামাল ও আব্দুল মালেক এদের সকলের মোকাবেলায় চলাচলের রাস্তা বাবদ ৪ শতাংশ জমি
৫০ হাজার টাকা ধরে নগদ টাকা দিয়ে এ জমি আমরা ক্রয় করি। জমি বিক্রির পর থেকে নানা ধরনের অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘ আট বছর যাবত, আমাদের জমিটি আমাদেরকে বুঝিয়ে না দিয়ে, উল্টো আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কাঁটা বিছিয়ে রাখে কোহিনুর ও হারুন গংরা। আমাদের বাড়িতে কোন মেহমান আসলে ওই রাস্তায় দিয়ে চলাচল করার অপরাধে অকথ্য ভাষায় তাদের কে গালিগালাজ করতে থাকে। এমত অবস্থায় প্রায় ২০ দিন পূর্বে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানাই। চেয়ারম্যান সরেজমিনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের দলিল অনুযায়ী আমাদের জমিটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়। হঠাৎ করে ৩-৪ দিন ধরে তারা হারুন, কোহিনুর, মানছুরা, জায়েদা, রিনা ও নাহার আমাদের জমির সীমানা বেড়া ভেঙ্গে রাস্তার সেই জমি তারা দখল করতে চায়। এ বিষয়ে তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর হুমকি দেয়।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের সামনেই রিনা ও নাহার শাহে আলম, শামসুদ্দিন ও ইসমাইল এ তিন জনের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
স্থানীয় জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, এরা দীর্ঘ আট বছর এই জমিটি ক্রয় করেছে। ক্রয় করার পরও তাদেরকে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো তাদের চলাচলে বাধাগ্রস্ত করতে থাকে হারুন ও কহিনুর গংরা। পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দলিলের ভিত্তিতে জমি মেপে শাহে আলমদেরকে বুঝ দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার সেলিম হাওলাদার বলেন, হারুন ও কোহিনুর এর খালা এই দুই শতাংশ জমি শাহে আলমের কাছে বিক্রি করে দেন। দীর্ঘদিনের ঝামেলা মিটিয়ে চেয়ারম্যান কিছুদিন আগে জমি মেপে বুঝিয়ে দেয়। কোহিনুর ও হারুন গংদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শাহে আলমদের একটি সাঁকো ও তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে কেউ কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে পারবে না।
অভিযুক্ত মানছুরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।