ভোলায় ভাবীর বাড়ী দখলে ব্যার্থ হয়ে দেবর মিজানের ষড়যন্ত্র” কোর্টে মামলা,থানায় জিডি

ষ্টাফ রিপোর্টার।

ভোলা শহরে দেবর কর্তৃক ভাবির বাড়ী দখলের চষ্টা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত ২১ জানুয়ারী জেলা শহরের ওয়েষ্টার্ন পাড়ার আদর্শ একাডেমী সড়কে এঘটনা ঘটে। বাড়ী মালিক রিজিয়া আক্তার জানান,আমার স্বামী খুব পরিশ্রম করে আমার নামে পৌরসভাধীন ৬ নং ওয়ার্ডস্থ আদর্শ একাডেমী সড়ক এলাকার এই জমিটি রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে ক্রয় করেন। যেটিতে আমি তিনতলা পাকা বাড়ী নির্মাণ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘবছর যাবত সূখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আমার দেবর শেখ মিজানুর রহমান সোহাগ হঠাৎ আমার পরিবারের উপর নানারকম নির্যাতন শুরু করে দিয়েছেন। সে পেশী শক্তির দাপটে আমার মালিকানাধীন জমি ও বসত বাড়ি নিজের বলে দাবী করে ভাড়াটে ক্যাডার এনে তা দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। বিগত ২১ জানুয়ারী ২০২৪ইং দুপুর ১ টায় উক্ত শেখ মিজানুর রহমান তার সঙ্গীয় ৭/৮জন সন্ত্রাসী’সহ আমার বসত বাড়ির সামনে এসে হাজির হন। সে আমার বাড়ীর মূল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমি,আমার ছেলে ও আমার স্বামী তাদের বাধা দেই। এতে মিজান আমার পরিবারের উপর চড়াও হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। আমাদের নির্মমভাবে হত্যা করে আমার বসতবাড়ী দখলে নেয়ার হুমকি দেয়। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপকালে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সে তার ক্যাডাররা পালিয়ে যায়। এ-ঘটনায় আমি বিগত ২২ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে শেখ মিজানুর রহমান সোহাগের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি।
(যার নম্বর-১১৫১) । একই আশঙ্কায় আমি তার বিরুদ্ধে ভোলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী বিচারিক হাকিমের আদালতে ১০৭ ধারায় অপর একটি মামলা (যার নম্বর-২৬৭/২৩ইং) দায়ের করলে বিজ্ঞ আাদলত আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
তিনি বলেন,আমার স্বামী তার রোজগারের টাকায় এ পর্যন্ত যত জমিজমা ক্রয় করেছেন,তার অর্ধেকটা-ই নিজের ছোটভাই শেখ মিজানুর রহমান সোহাগের নামে দলিল করে দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। তবুও তার মন ভরেনি। জেলা শহর ভোলার সদর রোডস্থ্য কে-জাহান মার্কেটে
“নয়ন মনি” নামে আমার স্বামীর দু’টি গার্মেন্টসের দোকান আছে। আমর স্বামী খুব সরল বিশ্বাসে যেগুলোর দেখাশুনা ও হিসাব-নিকাশের দায়িত্ব আমার দেবর মিজানুর রহমান সোহাগের কাছে অর্পন করেন। কিন্তু মতলববাজ মিজানুর রহমান সুযোগ বুঝে তার ভাইয়ের ব্যবসার মূলধন প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হন। শত চেষ্টা,তদ্বির ও আকুতি করলেও সেই টাকা অদ্য পর্যন্ত আমাদের ফেরত দেননি তিনি। এরকম অসংখ্য অন্যায়-অত্যাচার করে দিন দিন এই মিজান এখন একজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীরুপে আবির্ভূত হয়েছেন। যার চরম মশুল এখন আমাদের গুনতে হচ্ছে। এ-রি ধারাবাহিকতায় ভূমিূদস্যু মিজানুর রহমান সোহাগ এখন আমার বৈধ মালিকানাধীন বসতবাড়ি ও জমি দখলের অশুভ পায়তারা চালাচ্ছেন।
তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন চরম আতঙ্ক,উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছি।
তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তিনি জেলা প্রশাসন,পুলিশ সুপার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে উক্ত মিজানুর রহমান সোহাগের বিরুদ্ধে গত ২৯জানুয়ারী ভোলার নির্বাহী বিচারিক হাকিমের আদালতে বাড়ীর মালিক রিজিয়া আক্তার বাদী হয়ে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারামতে,অপর একটি মামলা দায়ের করেন। (যার নম্বর-৫৩/২৩ইং) ওই মামলায় বিজ্ঞ বিচারক কেনো ওই বাড়ীতে প্রবেশকরত:বেআইনি কর্ম থেকে বিরত থাকা হবেনা মর্মে আসামীকে কারন দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আসামীকে অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থেকে আদালত ভোলা সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং
বিরোধপূর্ণ বাড়ী মালিকানা কাগজপত্র যাচাই করে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে সদর এসিল্যান্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত শেখ মিজানুর রহমান সোহাগের সাথে তার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কোনোপ্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *