
বিশেষ প্রতিনিধি।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে একাধিক মামলার আসামী,সন্ত্রাসী মাদকব্যাবসায়ী মামুন গংয়ের মিথ্যে মামলার ও বিভিন্ন হুমকি মিথ্যা মামলার গ্রেফতার ও প্রান নাশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোর প্রতিকার প্রসঙ্গে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি আমিনুল ইসলাম। তিনি তার লিখিত অভিযোগে জানান,
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মোঃ আমিনুল ইসলাম পিতা আব্দুল ওয়াহাব,মাতার নাম ময়ফুল বেগম সাং উদয়পুর পক্ষিয়া ৩ নং ওযার্ড থানা বোরহান উদ্দিন জেলা ভোলা। আমি এই মর্মে জানাইতেছি যে গত ০৬.০৯.২০২০ ইং তারিখ ননজুডিসিয়াল স্টাম্পের মাধ্যমে অভিযুক্ত মোঃ জসিম(৩২)পিতা মোঃ আনু মিয়া সাং উদয়পুর থানা বোরহানউদ্দিন, জেলা ভোলা। সে জমি ক্রয় করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা নগদ ঋণ হিসেবে আমার কাজ থেকে নগদ গ্রহন করেন স্ট্যাম্পে লিখিত করে।
তার সাথে চুক্তি হয় যে, সে আমার কাছ থেকে ধার নেওয়া ৫ লক্ষ টাকা আগামী এক বছরের মধ্যে আমাকে ফেরত প্রদান করিবে। এ রকম চুক্তি তার সাথে থাকলে ও এক বছর অতিবাহীত হওয়ার পর আমি যখন আমার পাওনা ৫ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে সে আমার সাথে নানান তাল বাহানা শুরু করেন।
গত ০৯.১০.২০২২ইং তারিখ মানবাধিকার বাস্তবায়ন অফিস উদয়পুর রাস্তার মাথায়, সমূদয়পাওনা টাকা ফেরত চাইলে জসিম স্হানীয় সন্ত্রাসী মাদকব্যাবসায়ী মামুন পিতা মোঃ সিদ্দিককে সংগে নিয়ে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে একপর্যায় দুজন মিলে আমাকে দেশীয় বিভিন্ন অস্র দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে।
পুনরায় আমার টাকা আমি জসিমের কাছে ফেরত চাইলে তারা আমাকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে আমি বোরহানউদ্দিন থানায় তাদের বিরুদ্ধে জিডি করি। যাহার জিডি নং ১৭৭ তারিখ ০৪.০৭.২০২২ ইং।
পরবর্তীতে নন জি আর একটি মামলা করি। যাহার মামলা নং ১২২/২২।
বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা হওয়ার পর অভিযুক্ত জসিমের ইন্দনে সন্ত্রাসী মামুনসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন সন্ত্রাসী এসে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, আমি তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা শিকার করলে সকল সন্ত্রাসী মিলে আমার উপর জাপিয়ে পরে অতর্কিত হামলা করেন। আমাকে আঘাত করতে করতে মাটিতে ফেলে দেয়।
আমার পকেটে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও গলায় থাকা একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন তারা ছিনিয়ে নেয়।
তারা এতোটাই বেপরোয়া ছিল যে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমার বোন আমাকে উদ্ধার করতে আসলে আমার বোনকেও তারা বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে।
কোন উপায়ন্তর না দেখে আমি চিৎকার করি, আমার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসলে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আমি বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্যদের জানাই তারা মীমাংসা করে দিবেন বলে আশস্ত করেন। কিন্ত আদৌ কোন মিমাংশা করে দেন নাই তারা। এলাকায় কোন ফয়সালা না পেয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করতে যাই। থানায় ও আমার মামলা না নেওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হই এবং আদালতে মামলা করি।
যাহার এমপি নং ২০৩ তারিখ০৫/০৭/২০২২ ইং বিষয়ে ০৬/০৭/২০২২ ইং তারিখ এম পি ১১০/২০২২ইং মামালা করার পর জসিম ও মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার মানবাধিকার অফিসে হামলা ভাংচুর ও আমার ফার্মেসীতেও লুটপাটের চেষ্টা করে।
তাদের ভয়ে আমি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেরাচ্ছি।
আমাকে না পেয়ে তারা আমার সহকারী কবির পন্ডিতকে তুলে নিয়ে শারীরিক ভাবে এতটাই নির্যাতন করে এখন সে জীবন মরনের সন্ধিক্ষণে দিন গুনছে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে।
এ বিষয়ে ও বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
অপরাধীরা অত্যান্ত চালাক চতুর বটে,অপরাধ করে পার পাওয়ার কৌশল অবলম্বন করে,উল্টো অপপ্রচার, আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান।
তারা পেশীশক্তি ছাড়াও আমার পাওনা টাকা আমাকে না দিয়ে সেই টাকা খরচ করে আমাকে দেখে নিবে বলে এলাকায় বলে বেড়ায় এবং তারা আমাকে আর কোন দিন ভোলায় যেতে দিবেনা।
তারা মানছে না আইনের শাসন,তোয়াক্কা করছেনা কাউকে।
সর্বপরি তিনি বলেন মহোদয়ের সমীপে আমার আকুল আবেদন উপরোক্ত বিষয়সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে স্পর্শ কাতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ আমাকে আমার পরিবার-পরিজনদের উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচান, তারা অপরাধ করেও থানা পুলিশের নাকের ডগায় দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমি অপরাধ না করেও পালিয়ে থাকি মিথ্যা মামলার গ্রেফতার আতংকে আপনার মহানুভবতায় পরিবার-পরিজনদের কাছে ফিরে যেতে চাই, এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি।