ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলার দৌলতখাঁন উপজেলার উত্তরজয়নগরের একটি বসতবাড়ীতে হাৃমলা,লুটতরাজ ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রধারী ক্যাডাররা ওই বাড়ীতে তান্ডবলীলার একপর্যায়ে মূল্যমান জমি নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় সন্ত্রাসকর্মে বাঁধাদিলে দূর্বৃত্তদের হামলায় নারী-পুরুষসহ চারজন আহত হয়েছেন। এরা হলেন-ওইবাড়ীর গৃহবধূ লাইজু বেগম (৪৫) গৃহকর্তা মো: জিয়াউদ্দিন মাহমুদ আজাদ (৫৫) ভাতিজি রেহানা পাভীন (২৫) ও নাতি দূর্লভ মাহমুদ(১৭)।
গত শনিবার (৬ মে') সন্ধ্যায় সেখানকার ২নং ওয়ার্ড'র জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা ভূমি কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আজাদ মিয়ার বাড়ীতে এঘটনা ঘটে।
ভিক্টিম,প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জানা যায়,জিয়াউদ্দিন'র বাবা এলাকার বাসিন্দা মরহুম আব্দুল মালেক মাষ্টারের দ্বিতীয় স্ত্রী'র একমাত্র পু্ত্র সাহাবুদ্দিন সাবু ও তার সহযোগী মহিউদ্দিন কামালসহ ৭/৮ জনের দূর্বৃত্ত জমিজমা বিরোধের জের ধরে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ভাংচুর করে বসতঘরের টিন,আঁড়াসহ প্রায় মালামাল-ই খুলে নিয়ে যায়। জানা গেছে,ওইবাড়ীরতে জিয়াউদ্দিন মিয়ার চার ভাইদের মোট ৬৪ শতাংশ জমি রয়েছে। বেকার ও বখাটে সাবু'কে অন্যান্য ভাইগন সহানুভূতি না দেখালে-ও নিজের অংশ থেকে মানবিক দিক বিবেচনা করে জিয়াউদ্দিন তার সৎ ভাই সাহাবুদ্দিনকে কয়েকবছর পূর্বে চার শতাংশ জমি দান করেন আর এটাই জিয়াউদ্দিনের জীবনে "কাল" হয়ে দাঁড়ায়। সূত্রমতে,দানকৃত জমির মালিকানার সূত্রধরে বখাটে সৎভাই সাহাবুদ্দিন জিয়াউদ্দিনের পুরো জমি ও বসতঘর নিজের দখলে নিতে প্রায়সময়-ই সেখানে হামলা ও লুটপাটের মহোৎসব চালায়।
গত (৬ ই'মে'),শনিবার জিয়াউদ্দিন মিয়া তার কর্মস্থল ঢাকার ধামরাই উপজেলা থেকে সাপ্তাহিক ছুটিতে গ্রামের বাড়ীতে আসলে সৎভাই সাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগী মহিউদ্দিন কামালের নেতৃত্বে একদল গুন্ডাবাহিনী তাদের উপর অতর্কিত হামলা এবং বসতবাড়ীতে ভাংচু-লুটপাটের ঘটনা ঘটায় বলে ভিক্টিম জিয়াউদ্দিন গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন,এসমস্ত সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করবে এবং মিথ্যে সাজানো মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এদিকে ওইদিন হামলা ও লুন্ঠনের খবর পেয়ে বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয় মাহমুদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,বসতবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত চলে যান এবং বসতঘরের তাণ্ডবলীলার দৃশ্য প্রত্যক্ষ্য করেন। তিনি এমন নৈরাজ্যকর অবস্থার খবরটি তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছন। এব্যাপারে অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন সাবু'র সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে ওইদিনের ঘটনার পর থেকে সেখানে এসমস্ত ক্যাডাররা এখনো স্বশস্ত্র মহড়া চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার বাড়ীর মালিক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ আজাদ। তিনি বলেন,অস্ত্রধারী সাবু বাহিনীর অত্যাচার ও তান্ডবলীলায় তারা এখন চরম আতঙ্ক,উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা'র মধ্যে রয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলা ও বাড়ীঘরে লুটতরাজের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন,গৃহকর্তা জিয়াউদ্দিন আজাদ।