রিপোর্টঃ ফাতেমা খানম।
দৌলতখান উপজেলার বড়ধলি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়াগেছে।
অভিযোগ করে রফিকুল ইসলাম জানান, আমার প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হওয়ার কারণে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই।
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ৭নং ওয়ার্ডের আমির হোসেন সিকদার এর মেয়েকে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ করি।
নিপু বেগমের সাথে কিছুদিন সংসার করার পর সে আমাকে বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে মানসিক শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
আমি সম্মানের কথা ভেবে কাউকে এসব কথা জানাইনি এরই মধ্যে আমার শ্বশুর আমাদের বিয়ে,সম্পর্ক শক্ত করার জন্য কাবিন নামা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করার প্রস্তাব রাখে।
আমি তার কথা মত আমার
টাকায় ৩০০ শত টাকার স্ট্যম্প ক্রয় করে ওই স্ট্যম্পে সই করে দেই আমার পিতার মত শশুরকে বিশ্বাস করে।
তিনি ওই স্ট্যাম্প নোটারী না করে ব্লান রেখে দেয়।এর পর তিনি মারা যায়।
আমার শালা অর্থাৎ আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাই ওই স্ট্যাম্পটি ঘরে পেয়ে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী নিপু বেগমের সাথে চক্রান্ত করে ব্লান স্ট্যাম্পে লেখে যে, আমি নাকি আমার শশুরের কাজ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়াছি।
এই সব লিখে ব্লান স্ট্যাম্পে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
গত ২৯/৮/০২২ ইং সকাল আনুমানিক ৯ টার সময় ওই মামলার কোর্টে হাজির হওয়ার জন্য রওয়ানা দেই সাথে আমার প্রথম স্ত্রী জান্নাত বেগমকে নিয়ে।
এমন সময় মিয়ার হাট সংলগ্ন পুর্বপার্শ্বে দৌলতখানের মেন সড়কে আমার প্রথম স্ত্রী জান্নাত বেগমসহ আমি অটো গাড়ীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী নিপুর আত্নীয় তারেক,অন্তরসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
আমার স্ত্রী জান্নাতকে পিটিয়ে রাস্তার বাহিরে ফেলে দেয়।আমাকে তারা মারতে মারতে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী নিপু বেগমের বাড়ীতে নিয়ে যায়।
ওই বাড়ীতে নেওয়ার পর ও তারা আমাকে প্রচুর মারধর করে। তারা বলে আমার প্রথম স্ত্রী জান্নাতকে তালাক না দিলে আমাকে মেরে ফেলবে।
কিছুক্ষণ পর যখন লোকজন আমাকে একটি ঘরে আটক রেখে চলে যায়,ঠিক তখনই ওই ঘরের দরজা ভেঙে আমি পালিয়ে আসি এবং স্বজনদের কাছে খবর দেই।
তারা এসে আমাকে দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এদিকে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী নিপু বেগমের অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য তাকে ভীতি প্রদর্শন করার জন্য কোট থেকে প্রথম তালাকের নোটিশ পাঠাই আমি।
এর পর ও সে ক্ষান্ত হয়নি পরে বাদ্ধ হয়ে আমি তিন তালাকে পরিনত করে তাকে তালাক দেই।
এর পর নিপু বেগম আমার নামে নারীওশিশু মামলা করেন ওই মামলার ভীত্তি খোজে না পাওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
শিক্ষক রফিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জানান,দীর্ঘদিন ধরে রফিকুল ইসলাম স্যার অত্র প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
আমার জানামতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উশৃংখল চরিত্রের,তার অত্যাচারে রফিক স্যার অতিষ্ঠ ছিল।
৫ লক্ষ টাকার দেওয়া তার মিথ্যা মামলার কোর্টে হাজিরা দেওয়ার জন্য আমার কাছে রফিক স্যার ছুটি চায়, আমি তার ছুটি মঞ্জুর করি।
কোর্টে যাওয়ার পথিমধ্যে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিপুর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রফিক স্যার ও তার প্রথম স্ত্রী জান্নাত বেগমের শারিরিক নির্যাতন ও স্যারকে অপহরন করে নিয়ে নির্যাতন করা খুবই দুঃখ জনক।
আমি স্যারের সাথে অন্যায় কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবী করি।
এব্যাপারে নিপু বেগমের নিকট তার বক্তব্য জানার জন্য দক্ষিণ দিঘলদী ৭নং ওয়ার্ডে গিয়ে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।
তবে এলাকার সাধারন জনতা জানান, নিপুর এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছে। উশৃংখল চরিত্রের মেয়ে বলেই প্রথম স্বামীর সংসারও সে করতে পারেনী।
ভুক্তভোগি রফিকুল ইসলাম, উশৃংখল দ্বিতীয় স্ত্রী নিপুর অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।