এম,সরোয়ার ভোলা।
ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ৫নং ওয়ার্ডে মুলাম হাওলাদার বাড়িতে এতিম পরিবারের উপর হামলা করে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়াগেছে।
মোঃ মেহেদী হাসান তাকিব অভিযোগ করে জানান, মৃত-আনসারুল হক আমার পিতা রিটায়েট প্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। তিনি মৃত্যুবরণ করেন দেড় বছর পুর্বে, তারাই ভাই মোঃ মাসুদ আলমকে আমাদের ঘরে থাকতে দেই।
এ সুবাধে মাসুদ আলম আমাদের সম্পত্তি তার নিজের বলে দাবি করেন।
এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় সালিশ মীমাংসা হলেও উশৃংখল মাসুদ আলম আমাদের সম্পত্তির লোভে কোন সালিশের তোয়াক্কা না করে আমাদের ওপর তার জুলুম প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে।
আমরা এতিম বলে কোথাও বিচার পাইনা আমার একটি ভাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বিধবা মাকে নিয়ে আমরা কোন রকম বেঁচে আছি।
আমার বাবার থাকা বাজারে একটি ভাঙ্গা দোকান রয়েছে ওই ঘরটি মেরামতের জন্য গত ১২ জানুয়ারী ২০২২ইং তারিখে মেস্ত্রী খবর দেই,খবর পেয়ে তারা এসে দোকান ঘরটি মেরামতের কাজ শুরু করেন ঠিক তখনী দুপুর ১২ টার সময় মাসুদ আলমের নেতৃত্বে মুনসুর আহাম্মেদ, আরিফ ও মাহী আমাদের দোকান ঘর মেরামতের কাজ বন্ধ করে দেয়।
এবিষয়ে আমি জিঙ্গাসা করতে চাইলে তারা আমার কোন কথার জবাব না দিয়ে আমাকে এলোপাতারী মারধর শুরু করেন।
একপর্যায় মাসুদ আলম আমাকে হাতুরী দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পরে যাই,
আমার মা দৌড়ে গিয়ে আমাকে তাদের হাত থেকে বাচাতে চায়।
তখন তারা আমার মাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
আমাদের ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এবিষয়ে জানার জন্য এলাকায় গিয়ে মাসুদ আলম গংদের কাউকে পাওয়া যায়নি তবে মাসুদের মুঠো ফোনে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন আমি এলাকায় নেই প্রয়োজনে চরফ্যাশন এসেছি, আপনার সাথে পরে কথা হবে বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়।
ভুক্তভোগি তাকিব জানান,বিষয়টি এলাকার গন্যমান্যদের জানানো হয়েছে।
তারা আমাদেরকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
আগামী রবিবার ভোলা আদালতে মামলা করার প্রস্তুতির কাজ চলছে।
এতিম ও অসহায় মেহেদী হাসান তাকিবের পরিবারটি, জুলুমবাজ মাসুদ আলম গংদের অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।