নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভোলায় সিভিল সার্জন ১৫/৭/২১ তারিখে যোগদান করেন, যোগদানের পর থেকেই চলছে ঘুষ বানিজ্য। ঘুষ না দিলে কোনও কাজই হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা। সম্প্রতি সরকার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তালিকা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই লাইসেন্স করতে মরিয়া হয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ছুটছেন সিভিল সার্জন অফিসে। আর এই ঘোষণাকে কাজে লাগিয়ে এই অফিসে সুযোগ সন্ধানী সিভিল সার্জন নেমেছেন ঘুষ বাণিজ্যে, লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।নতুন লাইসেন্স জন্য গেলে অফিস খরচ, সিভিল সার্জনের পরিদর্শন খরচ ধরে তিনি দাবি করছেন মোটা অঙ্কের টাকা । আবার তার চাহিদা মেটাতে না পাড়ায় তাদের প্রতিবেদনের রির্পোট যাচ্ছে না ডিজি হেল্থে।
ভোলা জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল,ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের একাধিক ভুক্ত ভুগি জানান,আমাদের প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ডিজি হেল্থ ঢাকায় আবেদন করি,সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলা জেলার সিভিল সার্জন কে চিঠি দিয়েছেন ডিজি হেল্থ তাতে উল্লেখ করেন চিঠি পাওয়ার ১৫ কর্মদিবসের মধ্য সিভিল সার্জন প্রাইভেট ক্লিনিক গুলো পরিদর্শন করে প্রতিবেদন পাঠাতে।কিছু প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেও সেই সমস্ত ক্লিনিকের প্রতিবেদন রিপোর্ট ডিজি হেল্থ পাঠাচ্ছেন না। তারা আরো জানান,ভোলা জেলা সিভিল সার্জন একে এম শফিকুজ্জামান,ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতি ৫০হাজার টাকা করে দাবি করেন,তার চাহিদা মতো টাকা দিতে না পাড়ায় দীর্ঘ নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রতিবেদনের রিপোর্ট ছাড়ছে না।এ প্রতিবেদনের রিপোর্ট না ছাড়ার কারনে ২২সাল চলছে কিন্তু ২১সালের লাইসেন্স কোন প্রতিষ্ঠান পায়নি।
উল্লেখ্য যে,গত মোহনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২৩আগষ্ট ২০২১,৪নবেম্বর ২০২১সালে ভোলা স্কয়ার মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, ৪ অক্টোবর ২০২১ ইউনিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অক্টোবর ডিজি হেল্থ।
ক্লিনিক গুলোর মালিক পক্ষ আরও জানান, সরকার অবৈধ ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ায় আমাদের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।সময় মতো লাইসেন্স না পাওয়া গেলে আরো সমস্যায় পড়তে হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভোলা জেলায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১১০টি।কিন্তু সরকার ঘোষিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ভয়ে লাইসেন্স গ্রহণের আবেদন করছে বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই সরকারি নিয়মনীতি পুরোপুরি অনুসরণ না করায় অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান। তাই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাওয়ার সর্টকাট উপায় খুঁজছে। এ সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে সিভিল সার্জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা সিভিল সার্জন ডা.একে এম শফিকুজ্জামান জানান, লাইসেন্স পেতে পরিদর্শনের প্রতিবেদন রিপোর্ট দিতে আমি কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোন টাকা নেই নাই এটা সম্পূর্ন মিথ্যা।তবে ১৫ কার্যদিবসে প্রতিবেদনের রিপোর্ট পাঠানোর দেওয়ার কথা থাকলেও গত বছরের প্রতিবেদনের রিপোর্ট এ বছরও দিতে পারি নাই এটা আমার ব্যর্থতা।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক জানান, টাকা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।