
এইচ এম নোমান
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
চরফ্যাশনের ঢালচরের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ২১ জেলে নিয়ে ট্রলার ডুবে যাওয়ার ৬ দিন পর ৩ জেলের সন্ধান মিলেছে। নিখোঁজ শাহিন তার পিতা সেকান্দার ওরফে সিডু মাঝিকে শনিবার দুপুর ১২টার সময় ফোন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহিনের পিতা সেকান্দার ওরফে সিডু মাঝির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আজ শনিবার দুপুর ১২টার সময় ০১৭৬৮০৯৯৭৩৫ নাম্বার থেকে শাহিন ফোন করে জানান তারা কক্সবাজারের একটি মাছ ধরার ট্রলারে রসুলপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের সেকান্দার বেপারীর ছেলে মো. শাহিন , আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের খালেক,চরমানিকা ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত হানিফ মুন্সীর ছেলে হারুন আছেন ।
বাশখালি চট্টগ্রামের ট্রলার এমবি সাকিব এর মাঝি গিয়াসউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পরের দিন বিকেল ৪টার সময় ৩ জেলেকে বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করেছি। মাছ ধরা শেষে ট্রলারটি ফিরে আসলে তারা এলাকায় আসবে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বাচ্ছু মাঝি, আলামিন মাঝি, ফারুক হাওলাদার, জাবেদ, খালেক, ইউছুফ মৌলভী, জসিম জমাদার, রফিক, মাসুদ, বাচ্চু, নুরুল ইসলাম, নুরে আলম, আবুল বাসার, সুমন, দিন ইসলাম, নাগর মাঝি, মো. আলী, মিজান। এসব নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান না পেয়ে তাদের পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, কোন জেলে উদ্ধারের বিষয়টি আমাদেরকে নিশ্চিত করেননি। যেহেতু জেলেরা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছে অবশ্যই ফিরে আসার জন্য আমরাও সহযোগিতা করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন জেলে উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসবে।উল্লেখ্যে যে গত ৫ ডিসেম্বর ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার ঢালচর থেকে ৩১ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে চট্রগ্রামের এস আর এল এন -৫ নামের একটি ট্রলিং জাহাজের ধাক্কায় উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের কালাম খন্দকারের মালিকানাধীন “মা-সামসুন্নাহার” নামে মাছ ধরার ট্রলারটি ২১ জেলে নিয়ে সাগরে ডুবে যায়, ট্রলার ডুবির ১২ ঘন্টা পর গত সোমবার বেলা ১১ টায় ট্রলার মালিকের ভাই হাফিজকে উদ্ধার করে তাকে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর এলাকায় নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এরপরও ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে, নিখোঁজের ৬ দিন অতিবাহিত হলে শনিবার দুপুর ১২ টার সময় তিন জেলের সন্ধান পাওয়া গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১৭ জেলে।