ভোলা দৌলতখানে জাল সনদ ও জাল এনআইডি তৈরি করে প্রাইমারি স্কুলে চাকুরি করার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি।

ভোলা দৌলতখান উপজেলার কালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা চায়না রানীর বিরুদ্ধে এনআইডি কার্ড ও সনদ জালিয়াতি করে চাকরি করার অভিযোগ। সূত্র জানান বিগত ১৯৮৪ ইং সালে আজহারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১৯৮৫ ইং সালে সুখদেব মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় হইতে এসএসসি ও এইএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উভয় পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় চায়না রানী। ১৯৮৬ ইং সালে চায়না রানীর বিবাহ হয়ে যায়। বর্তমানে চায়না রানী এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী। চায়না রানীর কন্যা অন্তরাকেও বিবাহ দেন তিনি। অন্তরার বিবাহের পর ১৭/৮/২০১২ ইং তারিখে তার কন্যা অপসরা দেবনাথ জম্ম নেন। অন্তরার এনআইডি কার্ডে তার প্রকৃত জম্ম তারিখ ২৭/১২/১৯৮৯ ইং তারিখ। অন্তরার গর্ভ ধারেনি মা চায়না রানীর এনআইডি কার্ডে বয়স প্রমান জম্ম তারিখ ৩০/১২/১৯৮৪ ইং। অর্থাৎ মেয়ে অন্তরার চেয়ে মা চায়না রানীর বয়স ৫ বছর বেশি। মেয়ে অন্তরার প্রকৃত বয়স প্রমাণে বলে দেয়, চায়না রানীর এন আইডি কার্ডটি জাল, সূত্র আরো জানান চায়না রানী বিয়ের পর কোন প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার অধ্যায়নরত ছিলেন না। কালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যখন রেজিস্টার প্রাথমিকে ছিল ওই সময় চায়না রানী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও এইচ এসসি সনদ তৈরি করে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে ওই রেজিস্টার কালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারি প্রাথমিকে পরিণত হয়। সুঁচতুর অর্থলোভী চায়না রানী জাল সনদ ও জাল এনআইডির মাধ্যমে দীর্ঘদিন চাকরি করে প্রতারণাপূর্বক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিগত দিনে চায়না রানী এলাকার প্রভাবশালীদে ম্যানেজ করে তাদের সাথে সক্ষতা তৈরী করে বিভিন্ন অপকর্ম করতেন বলেও তারা জানান। তিনি সব সময় ওই প্রবাভ শালীদের ছত্র ছায়ায় নিজেকে উৎসর্গ করতেন এবং প্রভাব খাটিয়ে চলতেন। আমরা স্থানীয় জনতা প্রতারক চায়না রানীর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *