ভোলা দৌলতখান উপজেলায় মেম্বারের ইন্ধনে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি।

দক্ষিণ জয়নগর ৮নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যের ইন্ধনে শহীদ ও হারুনের উপর অতর্কীত হামলার অভিযোগ করেছে শহিদ ও হারুন।

শহীদ জানান,আমার স্ত্রী পারভীনের সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, আমি রাগের বশবর্তি হয়ে দুই দিন তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
বিষয়টি আমার স্ত্রী পারভিন তার ভাইদেরকে ও স্থানীয় জামাল মেম্বারকে জানায়, জামাল মেম্বার আমাকে না পেয়ে আমার বন্ধু হারুনকে বলে আমাকে যেন সে দুই দিনের মধ্যে তার সামনে হাজির করে।
খবর পেয়ে আমি গত ১২ মে শুক্রবার রাতে, হারুনকে সাথে নিয়ে জামাল মেম্বারের সাথে দেখা করি,জামাল মেম্বার আমাকে সমাধানের কথা বলে আশস্থ করেন, আবার গোপনে তিনি আমার শালাদেরকে ইন্দন দেয়, এসুবাধে কালু, সুমন,দুলাল,আফছারউদ্দিন, মিলন ও মহিউদ্দিন আমি ও আমার বন্ধ হারুনের উপর জামার মেম্বারের ঘর থেকে বের হয়ে একটু দুরে যেতে না যেতেই আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করেন উক্ত সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে তারা আমাদেরকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
আমাদের ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসলে উক্ত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে এলাকার লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
আমরা চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় তারা আমার স্ত্রী পারভীনকে দিয়ে আমার ও আমার বন্ধু হারুনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন।

এলাকাবাসী জানান,কালু,সুমন,দুলাল গংরা সত্যিকারের সন্ত্রাসী তারা টাকার গরমে এলাকার প্রায় লোকদের সাথে অযথাই বিরোধ করছে।
তবে তাদেরকে এলাকার প্রভাবশালী এক লোক সেলটার দেয় বলে আমরা জানি। ১২ মে শুক্রবার রাতে শহিদ ও হারুন রাতে মেম্বারের বাড়ী থেকে বের হতে না হতেই উক্ত সন্ত্রাসীরা তাদের উপর যে ভাবে হামলা করেছে, আমাদের মনে হয় তারা শহিদ ও হারুনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তারা এলাকার লোকজনের উছিলায় ও প্রানের জোরে বেচে যায়।
এব্যাপারে কালু গংদের নিকট জানার জন্য ঘটনাস্থল ও এলাকায় গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগি শহিদ ও হারুন অত্যাচারী জুলুমবাজ সন্ত্রাসী কালু গংদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবী করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *