মোঃ সোহেল হাওলাদার,বিশেষ প্রতিনিধি।
ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইয়াছিন খাঁন গংদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী মোঃ আবুল কালাম জানান- বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন মৌজার এস এ ১০১ নং খতিয়ানে ০২নং দাগে তথা বি.এস. ৩৪০ খতিয়ানের ৪ নং দাগের ২০ শতাংশ জমি আমি ক্রয়সূত্রে মালিক হইয়া তেত্রিশ (৩৩) বছর যাবত চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসিতেছি। ইসমাইল খাঁন গংরা বহুদিন ধরেই আমার জমি দখলের ষরযন্ত্র করে আসিতেছে।
গত ১৮ই (এপ্রিল) সকাল ১০টায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দা,ছেনি,লাঠি, খোনতা, কোদাল, কুড়াল, ইট, বলি ও সাজি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে এসে আমার ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টা করে।পরে আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যরা বাঁধা প্রদান করলে তারা উত্তেজিত হয়ে বলেন, এবার দখল করতে না পারলেও পরের বার বালি ফালাইয়া দখল করবো কেউ বাঁধা দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেন ইয়াছিন গংরা।
আবুল কালাম আরও জানান- ইয়াছিন খাঁন গংরা ভয়-ভীতি দেখানোর পর আমি ভীত হয়ে স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইউসুফ হোসেন এর কাছে লিখিত অভিযোগ করি।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিষয়টি মিমাংসা করতে চাইলে ওনারা আসেননি। উল্টো ইয়াছিন গংরা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর এর পুত্র টিপু সহ আমার পরিবারের সদস্যদের আসামী করে মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন।
আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, ইয়াছিন গংরা সমাজের শক্তিশালী ও প্রতাপশালী হওয়ায় তারা আমার ভোগ দখলীয় রেকর্ডিয় সম্পত্তি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করে জোরপূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে আমি থানায় অভিযোগ করতে গেলে আমলে নেয়নি। পরে আমি আদালতের সরনাপন্ন হয়ে ইয়াছিন গং এর ৯জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
আদালত আমার অভিযোগ আমলে নিয়ে আমার ভোগ দখলকৃত জমিতে ১৪৪/৪৫ ধারা জারি করে।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেয়া জমিতে আদালতের জারিকৃত ১৪৪/৪৫ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইন্ট্রাকো রিকুয়েলিং নামের একটি কোম্পানির শ্রমিকরা বলি দিয়ে পাইলিং এর কাজ করছে।