
ঢাকার
ফ্যাসিষ্ট কায়দায়
চালাচ্ছেন-সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী..
নারী নিপীড়নের বিচার চেয়ে কলেজ
ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন..
৫ আগষ্ট উওরা ও যাত্রাবাড়ীতে যুবলীগ
নেতা সেলিম খানের নেতৃত্বে পারভেজ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর
নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে..
স্টাফ রিপোর্টার।
ঢাকার উত্তরার আলোচিত যুবলীগ ক্যাডার পারভেজ জার্সি বদল করে এখন ভোলায় এসে বিএনপি নেতা সেজেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা সদর ভোলার শিবপুর ইউনিয়নবাসীর কাছে উক্ত পারভেজ একটি মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। বিগত স্বৈরশাসক আমলে ঢাকার উত্তরায় এই পারভেজ অপরাধ জগতের একজন চিহ্নিত ডেভিল হিসেবে সকলের কাছেই আলোচিত ছিল বলে আলোচনা রয়েছে। আ’লীগের ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পারভেজ পুরো উত্তরা এলাকার সাধারন মানুষকে বিষিয়ে তোলার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ক্রিমিনালিজমগিরি করে এই পারভেজ সামান্য লেবার থেকে বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। রামপুরা থানা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পদাক বর্তমান থানা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য মো: মিজানুর রহমান জানান,এই যুবলীগ সন্ত্রাসী পারভেজ যত রকম অপকর্ম আছে সবই করেছে উত্তরাতে,এখন খোলস পাল্টিয়ে রাতারাতি বিএনপি হয়ে গেছে। তথ্যমতে,জেলা সদর ভোলার শিবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রসুমদ্দিন পাটওয়ারী বাড়ীর বাসিন্দা আবু তাহের মিয়ার গুণধর পুত্র পারভেজ বিগত ফ্যাসিষ্ট আ’লীগ জমানায় রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুনলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম খানের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে ত্রাসের রাজত্ব চালাতো। সেলিম বাহিনীর দুর্ধর্ষ ক্যাডার হিসেবে স্যুটার পারভেজ চাঁদাবাজি, ছিনতাই,নারীবাজী,ভূমিদস্যুবৃত্তি ও খুন-গুমের মত ভয়ঙ্কর রোমহষর্ক বহু ঘৃণ্য ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো বলে একাধিক তথ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলন চলাকালে উক্ত সেলিম খানের নেতৃত্ব পারভেজ উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অনেককে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে,যুবলীগ ক্যাডার পারভেজ উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সোনার গাও জপথ রোড এলাকার মার্বেল কর্নারে বসবাস করছেন। সূত্র জানায়, হাসিনা পতনের পর থেকে যুবলীগ ক্যাডার পারভেজ বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় চিহ্নিত বিধায় পারভেজ নিজেকে রক্ষায় ভোল পাল্টোন। নিরাপত্তার অভাবে নিজ এলাকা ভোলা সদরের শিবপুর গ্রামে চলে আসেন তিনি। সেখানে বেশ কিছুদিন ঘাপটি মেরে থাকার পর অদৃশ্য ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় হঠাৎ জার্সি বদল করে রাতারতি বিএনপি’র নেতা বনে যান পারভেজ। ফলে জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র জনতাকে খুনের অভিযুক্ত পারভেজ এখন শিবপর গ্রামে বিএনপির নায়া নেতা হিসেবে নিজেক আবিস্কার করেছেন। এলাকায় এসে ফ্যাসিষ্ট কায়দায় ফের শুরু করেছেন,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি,নারী নিপীড়ন ও ভূমিদস্যুবৃত্তিসহ নারকীয় যত তান্ডবলীলা। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে গেলে শিবপুর ইউনিয়নের শ্রেণীপেশার মানুষ জানান,জুলাই বিপ্লবের পর ওই এলাকায় যুবলীগ নেতা পারভেজ বিএনপির টিকিট নিয়ে ত্রাসের রাজত্ত্ব শুরু করায় তারা খুবই আতঙ্কিত। যদিও জেলা বিএনপির দাবী পারভেজ দলের কেউ নন। বিএনপিতে তার কোনো পোষ্টপজিশনও নেই। এদিকে শিবপুর গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাইনুদ্দিন মিয়ার কলেজ পড়ুয়া কন্যা বিবি রহিমা শান্তা জানান,বখাটে পারভেজ তাকে নানাভাবে হেনস্তা করছে। নগ্নকাজের জন্য তাকে লাগাতার কু-প্রস্তাব দিচ্ছে। সম্প্রতি ভোলা সদরে অবস্থিত একটি গণমাধ্যম হাউজে পারভেজের বিরুদ্ধে বেলাল্লাপনার এসব অভিযোগ এনে ওই নারী শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলনলন করেছেন। এসময় কলেজ ছাত্রী রহিমা বেগম শান্তার সাথে তার
মা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শান্তা গণমাধ্যমকে জানান,পারভেজ একটা দুশ্চরিত্র টাইপের লম্পট ব্যাক্তি। এলাকায় মানুষের সাথে নানা ধরনের প্রতারনা,জমি দখল,নারী নিপীড়ন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। সে তার স্বামী মেহদী হাসানের সাথে পারিবারিক বিবাদ বাধিয়ে তার স্বামীর কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে পাঁচলাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি জানান,এলাকায় এধরণের অসংখ্য ঘটনার নাটের গুরু এই সন্ত্রাসী পারভেজে। তাই তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে কলেজ ছাত্রী শান্তা প্রশাসনের প্রতি জোড় দাবী জানাম।
এদিকে যুবলীগ নেতা পারভেজ জার্সি বদল করে কিভাবে বিএনপি পরিচয় বহন করছে,বিষয়টি জানতে কথা হয় শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন মিয়ার সাথে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,পারভেজ যে যুবলীগ ক্যাডার ছিলো তা আমিও জানি কিন্তু দলের ভেতরে থাকা একটি অশুভ চক্র তাকে বিএনপি পরিচয় দেয়াচ্ছে। তিনি বলেন,পারভেজ বিএনপির কেউ নন। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান ইউনিয়ন বিএনপির এ নেতা। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।