
হাসান ফরাজীঃ
আসন্ন ১৫ জুন ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নে এর ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মোঃ শিপন মেম্বারের সমর্থক অলি হাওলাদারের উপর অপর মেম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী মিজান বিশ্বাসের চাচা রুলামিন বিশ্বাস সহ ৫/৭ মিলে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অলি হাওলাদার বলেন -আমি মেম্বার পদপ্রার্থী শিপন এর বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা গেলে মেম্বার পদপ্রার্থী মিজান বিশ্বাস এর চাচা রুলামিন বিশ্বাস ও তাদের সমর্থকরা আমাকে হুমকি দিয়ে থাকে। আজ সকাল আনুমানিক ৮টার সময় আমার ধান ক্ষেত্রে রওনা করলে পথের মধ্যে রুলামিন বিশ্বাস সহ ৫/৭ জন মিলে এলোপাতাড়ি মারধর করে ফেলে যায়। স্হানীয় লোকজন লালমোহন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।বিকালের দিকে মিজান বিশ্বাসের চাচা রুলামিন বিশ্বাসসহ কয়েকজন লোক নিয়ে হাসপাতালে এসে বলে আমি হাসপাতালে কেন ভর্তি হলাম, এখনি বেরিয়ে না গেলে তোকে আবার মারবো, আমার বাসা হাসপাতালের পাশে দ্রুত নাম কেটে হাসপাতাল ত্যাগ করে বাসায় চলে যায়। এই বলে আমাকে হুমকি দেয়। পরে আমি ভয়ে কাউকে না বলে হাসপাতাল থেকে চলে আসি। আমি নির্বাচন কমিশন ও লালমোহন সার্কেল এসপি স্যারের হস্তক্ষেপ কামনা করি এরা দুষ্ট ও ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। আমার যাকে ভালো লাগে তাকে ভোট দিবো, সেইখানেও বাঁধা। আমি ঘটনার সুস্থ বিচার চাই।
মেম্বার পদপ্রার্থী শিপন জানান- অলি হাওলাদার নির্বাচনের আগ থেকেই আমার সাথে উঠাবসা। তাদের সুখে দুঃখে আমি যতটুকু পারি সহযোগিতা করার চেষ্টা করি, আমাকে সে ভালোবেসে তাই আমার নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা করে । গতকালকে তাকে আমার মেম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী মিজান বিশ্বাসের চাচা রুলামিন বিশ্বাস বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। অলি হাওলাদার আমাকে বিষয়টি অবগত করলে আমি অলি হাওলাদারকে বুজিয়ে শুনিয়ে বলি তারা পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করবে। তবে এই মুহূর্তে ঝামেলা করা যাবেনা ।তারা করলে করুক কারণ ৩ নং ওয়ার্ডের জনগণের বিপদে ও সুখে দুঃখে রাত দিন তাদের জন্য আমি কাজ করেছি তারা আমাকে ভালোবাসে। আমার প্রতিপক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ব করার পায়তারা করছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,
অপর মেম্বার প্রার্থী মিজান বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।