
সাংবাদিক,এম সরোয়ার
Journalism একটি ইংরেজী শব্দ।শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হল সাংবাদিকতা । Journalism শব্দটির অর্থ ভালভাবে বুঝতে একে দুটি অংশে ভাগে ভাগ করা যায় । প্রথমটি হল Journal আর অপরটি হল ism। Journal বলতে বুঝায় “দিনপঞ্জি” । অথবা কোন কিছু প্রকাশ করা । আর ism মানে হল চর্চা বা অভ্যাস । এক কথায় বলা যায় , “দিনপঞ্জি চর্চা বা অনুশীলন”। সাংবাদিকতাহল সংবাদপত্রের মধ্য দিয়ে খবর ও মন্তব্য প্রকাশ করা ।
অনেকেই একে সাত তাড়াতাড়ির সাহিত্যপত্র বলে মন্তব্য করেছেন। আবার অনেকে একে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খন্ডাংশ বলেও উল্লেখ করেছেন । যিনি সংবাদপত্র লিখে থাকেন তিনি তা তার পারিশ্রমিকের বিনিময়েই লিখে থাকেন। আর যিনি সংবাদপত্র অর্থ খরচ করে পড়েন তিনি এ পড়ার বিশ্বাসটা নিয়েই ইতিহাসের সত্য খন্ডংশটি জানবেন । যদি সংবাদ মিথ্যা হয় তবে তা কখনো সাংবাদিকতা নয়।
বর্তমানে সাংবাদিকতা বিষয়টি খবরের কাগজ ছাপানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ।প্রযুক্তির উৎকর্যে নিত্য নতুন যন্ত্রের আবিস্কারের ফলে সাংবাদিকতা বিষয়টির আওতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানে সাংবাদিকতা বলতে টেলিভিশন স্যাটেলাইট চ্যানেল , ফিল্ম,ইন্টারনেট ,সামাজিক যোগাযোগের ওয়েব সাইট গুলোকেও বুঝায় । Example :যে বিষয়গুলোর সম্পর্কে তুমি অজ্ঞ সে বিষয়গুলোর ওপর পারিশ্রমিক নিয়ে লেখাই হচ্ছে সাংবাদিকতা ।
B.N Ahuja তাঁর Theory and practice of journalism বইতে বলেছেন,
“সাংবাদিকতা হল সামাজিক কার্যাবলির ঐ অংশ যেটি সমাজের সংবাদ এবং মতার্দশ প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ।”
স্যার এরিখ হজিনস্ তার সংজ্ঞায় বলেছেন,
সাংবাদিকতা হচ্ছে সঠিক,পরিজ্ঞাত ও ত্বরিতগতিতে তথ্যাদির এদিক-ওদিক এমনভাবে প্রেরণ যাতে করে সত্য পরিবেশিত হয় এবং তাৎক্ষণিক ভাবে না হলেও সব তথ্যের যথার্থতা ধীরে ধীরে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ডেভিড ওয়েন রাইট বলেছেন ,
journalism is Information. It is communication. It is the events of the day distilled into a few words, sounds or pictures processed by the mechanics of communication to satisfy the human curiosity a world that is always eager to know what’s new.
সুতরাং, সাংবাদিকতা হল জীবন,সমাজ ও রাষ্টের গতি প্রকৃতি বর্ণনার একটি কৌশল । চিন্তা ধারার উন্নয়ন,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের ধারক ও বাহক হল সাংবাদিকতা । আর একটি সংবাদপত্র হচ্ছে এক একটি দিনের ইতিহাস বা ঐ সমাজের প্রতিচ্ছবি । সাংবাদিকতা হচ্ছে শিক্ষা,সংস্কৃতি,অর্থনীতি,রাজনীতি,ধর্ম,দর্শন,বিনোদন প্রভৃতি বিকাশের মূল বাহন। বর্তমানে রেড়িও,টেলিভিশন,সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট, ইন্টারনেট প্রভৃত্তির কল্যাণে সাংবাদিকতা আগের মত কাগজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাই বলা যায়, সাংবাদিকতা বর্তমানে মানুষের আচার-অনুষ্ঠান,কাজ-কর্মে প্রভাব বিস্তারকারী সবচেয়ে শক্তিশালী একটি উপাদানের নাম সাংবাদিকতা।