বিশেষ প্রতিনিধি।
ভোলা দৌলতখান উপজেলার দক্ষিন জয়নগর ২নং ওয়ার্ডের তাজল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি জবর দখল ও গৃহবধূর উপর হামলার অভিযোগ। ফরিদের অবর্তমানে তার ছোট ভাই নিরবের স্ত্রী রাবেয়া জানান,আমার শশুর আবদুল মন্নান ওরপে মুনাফ এর মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সুত্রে তার তিন ছেলে নিরব,ফরিদ ও শাজাহান মালিক হয়ে একই বশত ভিটা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দখল করে বসবাস করে আসছেন। এদিকে পিতার ওয়ারিশি জমি আবদুল মন্নান ওরপে মুনাফের অপর দুই ছেলে আলতাফ ও রফিক দুই ভাই মিলে তাদের অংশ একই বাড়ীর তাজল ইসলামের কাছে বিক্রী করেন। এসুবাধে তাজল ইসলাম ফরিদ,নিরব ও শাজাহানের বশত ভীটা দখল করার চেষ্টা করেন। তিনি আরো জানান,এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় শালিস মিমাংশা হলেও তাজল গংরা কোন শালিসের তোয়াক্কা করেনা। বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের স্বরনাপন্ম হই বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান তাজল গং আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার ১০ টায় সময় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দিশীয় অস্রসহ বেড়া দিয়ে আমাদের বশত ভীটা জবর দখল করার চেষ্টা করেন,আমাদের পরিবারের পুরুষ লোক বাড়ীর বাহীরে থাকায় আমি ও আমার ভাসুর ফরিদের স্ত্রী ছেলের বউ এবং আমার শাশুরী মিলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে চাইলে,তারা আমাদের কথার কোন কর্নপাত না করে আমাকে লাত্থি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাদের বশত ঘরে ডুকে ঘর ভাংচুর করেন এবং ঘরে থাকা নগদ টাকা স্বর্নলংকার নিয়ে যায়। আমাদের ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসলে উক্ত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং তারা ৯৯৯ এ নাম্বারে ফোন করেন,তাৎক্ষণিক বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ ঘটনা স্থলে আসেন। পুলিশ উক্ত বিষয়টি তদন্ত করেন। এক পর্যায় উক্ত সন্ত্রাসীরা পুলিশের ভয়ে স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এব্যপারে তাজল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি আদালতের মামলা চলমান আছে বলে স্বীকার করে এড়িয়ে যান।
রাবেয়া বলেন আমাদের কোন পুরুষ লোক বাড়ীতে থাকে না তারা পেটের দায়ে কর্ম করেন বাড়ীর বাহীরে এমতাবস্থায় আমরা উক্ত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকে দিন অতিবাহিত করতেছি আমরা উক্ত সন্ত্রাসীদে হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি