ভোলায় বিসিকের গাছ হরিলুট, সংবাদ প্রকাশ করতে যাওয়ায় সাংবাদিক কে হুমকি

ভোলায় বিসিকের গাছ হরিলুট, সংবাদ প্রকাশ করতে যাওয়ায় সাংবাদিক কে হুমকি

মোঃ ইকবাল হোসেন ভোলাঃ


নিয়মবহির্ভূতভাবে ভোলায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর গাছ কর্তনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করায় দৈনিক ভোলার বাণী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মাহে আলম মাহীর সাথে মাসুম বিল্লাহ নামক বিসিকের এক উদ্যোগতার অশোভন আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (৫ জুন) সকালে ভোলা বিসিক শিল্পনগরী এলাকার ভিতর এ ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক মাহে আলম মাহী অভিযোগ করে বলেন, বিসিক শিল্পনগরীর পাশেই আমার বাসা। ঘটনার দিন আমি বিসিকের মধ্যে ঘুরতে গেলে বিসিকের মধ্যে রাস্তার পাশের একটি গাছ কর্তনের দৃশ্য চোখে পড়ে। এমন সময় সানাউল্লাহ নামক বিসিকের একজন স্টাফ এর সাথে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞেস করি বিসিকের গাছ কাটাচ্ছেন কে আর তার কি গাছ কাটানোর এখতিয়ার আছে কি না? তখন তিনি বলেন স্যারের কাছে অনুমতি নিয়েই তিনি গাছ কাটছেন। আমি বিসিকের ডিএম সাহেব আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন স্যার এখন নাই পরে ফোন নম্বর চাইলে তিনি বলেন আপনি অফিসে এসে স্যারের ফোন নম্বর নিয়ে যান। আমি তাকে বললাম আচ্ছা আপনি অফিসে যান আমি দেখে আসছি। এর পর পাশেই এক দোকানীকে জিজ্ঞেস করলাম এই প্লটের মালিক কে আর গাছ কাটাচ্ছেন কে? এমন সময় পাশে থাকা সেই উদ্যোগতা আমাকে বলেন আপনি কে আর আপনার কাছে কি কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি? আমি আমার পরিচয় দিয়ে তাকে পুনরায় গাছ কাটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে তুই সম্বোধন করে বলেন তোকে কি কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি তোকে বিসিকে ঢুকার পারমিশন কে দিছে? তোর আইডি কার্ড দেখা। একপর্যায়ে সে মারধর করার মুভমেন্ট নিয়ে আমার দিকে তেরে আসে এবং আমার হাত ধরে বলেন আজ তোকে এখান থেকে যেতে দিবো না দেখি তোর কোন বাপ এসে তোকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তার এমন আচরণ দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে যাই। মূলতঃ তার এসব নিয়মবহির্ভূত কর্মকান্ড দেখে ফেলায় এবং অনিয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় সে আমার সাথে রূঢ় আচরণ করে। পরে বিসিকের উপ-ব্যাবস্থাপক এস.এম. সোহাগ হোসেন এসে ঘটনা, সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আমি তাকে পুরো বিষয়টি খুলে বলি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এমন একটি নয় প্রতিনিয়ত অসংখ্য গাছ ও বিসিকের বিভিন্ন সম্পদ অফিস স্টাফ ও এসব উদ্যোগতারা ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করে নিচ্ছেন। বিসিক যেহেতু রাষ্ট্রীয় সম্পদ তাই এসব দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এতো অনিয়ম দেখার পরও কারো কিছু করার নেই।

গাছ কর্তনের ব্যাপারে বিসিকের উপ-ব্যাবস্থাপক এস.এম. সোহাগ হোসেন বলেন, বিসিকের কোনো গাছ কাটতে হলে অফিসিয়ালি যে নিয়মনীতি তাতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে তাই তাকে একটু সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছি। টেন্ডার ছাড়া কি বিসিকের গাছ কেউ কেটে নিতে পারে যদি সে বিসিকের একজন উদ্যোগতাও হন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তাকে গাছ কেটে নিয়ে যেতে বলিনি শুধু কেটে রেখে দিতে বলেছি। আর এলাকাবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরণের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি তখন ছিলাম না পরে এসে শুনেছি।
এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে ভোলার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা, তদন্তসাপেক্ষে বিসিকের ওই উদ্যােত্তার শাস্তির দাবী জানিয়েছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *