স্বপ্ন”কেবল একটি ঘরের,ছিকু বেগম ও তার স্বামী বশিরের

স্বপ্ন”কেবল একটি ঘরের,ছিকু বেগম ও তার স্বামী বশিরের

রিপোর্টঃ ফাতেমা খানম।

ছিকু বেগম ও তার স্বামী বশির ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিন দিঘলদী ৩নং ওয়ার্ড বাঘমারার অস্থায়ী বাসিন্দা।

মাথা গোজার মতো যার নিজের কোনো ঠাঁই নেই। নেই থাকার ঘরবাড়ি ও কোনো জমিজমা।

এক কথায় ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় এ ছিকু বেগম তার স্বামী বশিরসহ ৫ ছেলে মেয়ে বৃদ্ধ শশুরকে নিয়ে কষ্টে কোন রকম দিন পার করছেন।

তার স্বামী বশির বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য বাবাকে নিয়ে বাঁচার তাগিদে একা জীবন যুদ্ধ করেন।

এই বশিরের আপন বলতে কেহই নেই, নেই তার কোনো সহায়-সম্বলও। কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি।

তার স্বপ্ন (মুজিব শতবর্ষের উপহার) আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরের।

তিনি বর্তমানে থাকেন ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিন দিঘলদী ৩নং ওয়ার্ড বাঘমারা সংলগ্ন দক্ষিন পার্শ্বে ভেড়ীতে।

একটি পাতার ছাউনিতে কোন রকম ঘর তুলে । সেই ঘরেও চালা দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে।

তিনি কাজ করেন নদীতে কোন দিন কাজ হয় আবার কোন দিন হয় না এভাবে চলে তার জীবন।

দু’ মুঠো ভাত জোগাতে বড়ই হিমশিম খাচ্ছে এ অসহায় বশিরের। তার বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ কষ্ট হলেও তার জন্য খাবার দৈনিক ঔষাধের ব্যবস্থা করতে হয় বশিরের।

বশির পেটের তাগিদে রোজ ছুটতে হয় কাজের সন্ধানে এদিক ওদিক।

পঞ্চাশোর্ধ বশির দীর্ঘদিন যাবৎ অভাব অনটন আর সীমাহীন দারিদ্রতায় সঙ্গে যুদ্ধ করে নানা রকম সমস্যায় ভুগছেন।

অসহায় ও অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে কোন রকমে অতি কষ্টে সংসার চালিয়ে আসছেন তিনি।

শুরু হয় তার তিনটি মেয়েকে বিবাহ দেওয়া নিয়ে আরেক ভাবনা।

বশির বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য বাবা ছেলে মেয়ে স্ত্রী নিয়ে সে একা জীবন যুদ্ধ করে যাচ্ছেন । ছেলে মেয়েরাও স্বপ্ন দেখে তার বাবার থাকার মতো একটি ঘরের।

অতি দুঃখ, কষ্ট ও দুর্দশায়ার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছেন এ অসহায় বশির।

গৃহহীন ও ভুমিহীন এই বশির তার বাকি জীবন ভালোভাবে বসবাস করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর পাওয়ার আশায় পথ চেয়ে বসে আছেন এ বশির,ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।

কিন্তু অনেকের নিকট গিয়ে বশির প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া একটি ঘর তার ভাগ্যে আজও জুটলো না।

হতদরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন বশির বলেন, আমার পাচটি ছেলে মেয়ে আমি শত কষ্ট করলে ও কাহারো কাছে হাত পাতার মত লোক নই।

আল্লাহ আমার হাত পা রেখেছে কর্ম করেই কোন রকম বেচে থাকতে চাই।

আমি জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে অনেক কষ্টে বেঁচে থাকতে চাই। সরকার যদি আমার মত অসহায় মানুষকে একটি ঘর উপহার দিত তাহলে খুব উপকৃত হতাম আমি।

আমি আমার জীবনের বাকি শেষ’কটা দিন পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভাল ভাবে কাটাতে পারতাম।
তাই প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার হিসাবে আমাকে একটি ঘর উপহার দিয়ে আমার বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা ছেলে মেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে একটু হলে সুখে থাকার সুযোগ করে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *