ভোলায় চিকিৎসক নিহতের ঘটনায় জেলা পুলিশের প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

একে এম গিয়াসউদ্দিন (ভোলা)


ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহকারি সার্জন ডাক্তার হিল্লোল চন্দ্র দে মাইক্রোবাস চাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।

সোমবার ২৮ আগস্ট বিকাল ৫ ঘটিকায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে প্রেস ব্রিফিং করেন ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান গত ৩ আগস্ট ডাক্তার হিল্লোল চন্দ্র দে বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্থল লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ যাওয়ার পথে কালমা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ফরাজী বাজারের উত্তর পার্শ্বে বাকলা এর দোকানের সামনে ভোলা টু চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে অনুমান সকাল ১১ : ৩০ ঘটিকায় বিপরীত দিক হতে বেপরোয়া গতিতে আসা মাইক্রোবাস ডাক্তার মিলন চন্দ্র দে কে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এরপর ওই ঘাতক মাইক্রোবাস চালক পালিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় ৩ আগস্ট নিহতের চাচা সজল চন্দ্র দে লালমোহন থানায় বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় এজাহার দায়ের করেন।

লালমোহন থানা মামলা নং- ৮। ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান বিপিএম এর সার্বক্ষণিক তদারকি ও দিক নির্দেশনা মোতাবেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই (নিঃ)মোহাম্মদ জাহিদ হাসান ঘাতক মাইক্রোবাস চালককে গ্রেফতার করার জন্য একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের ধারাবাহিকতায় ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৭ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ভাররা ইউনিয়ন আরড়া গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে এরশাদ (৩৫) কে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহলি থানাধীন চরকোদালিয়া পূর্ব পাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করেন।

এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ সময় প্রেস কনফারেন্সে নিহতের চাচা সজল চন্দ্র দে ও গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘাতক মাইক্রোবাস চালক এরশাদকে উপস্থিত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *