
ষ্টাফ রিপোর্টার।
ভোলার শহরতলীর ধনিয়া ইউনিয়নের একটি বাড়ী থেকে রাখালের চারটি গরু লুটের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ কাঠিরমাথা নামক এলাকার বাসিন্দা শানু ডাক্তারের ছেলে রুবেলের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত রাখাল মাইনুদ্দিন মালের এ গাভী গরুগলো লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখ বেলা তিন ঘটিকার সময় ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি নামক এলাকায এঘটনা ঘটেছে। রাখাল মাইনুদ্দিন মাল গরু লুটের ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোনোপ্রকার প্রতিকার পাননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। থানায় দায়েরকৃত ওই অভিযোগটি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালামকে তদন্তের জন্য দেয়া হলে তিনি লুটের গরুগুলো কাচিয়া ইউপি সদস্য মনিরের খামারে থাকার তথ্য-প্রমান সংগ্রহ করেন বলেও গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে কাচিয়া ইউপি সদস্য মনিরের সাথে কথা হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান,শানু ডাক্তারের ছেলে রুবেলের সাথে ধনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মঞ্জুরুল আলমের আর্থিক লেনদেন রয়েছে। রুবেলের সেই টাকা উদ্ধারের পদক্ষেপ হিসেবে কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকীবের নির্দেশে তিনি রুবেলের কাছ থেকে গরুগুলো নিয়ে নিজ খামারে হেফাজতে রেখেছেন। কিন্তু রাখাল মাইনুদ্দিন মাল জানান,উক্ত গরুগুলো মঞ্জুরুল আলমের বোন আয়শা বেগমের ব্যাক্তিগত। সে তাকে (মাইনউদ্দিনকে) ওই গরুগুলো লালন-পালনের জন্য বর্গা দেন। রাখাল মাইনুদ্দিন মাল বলেন, মঞ্জুর আলমের লেনদেনের সাথে তার গরুর’তো কোনো সম্পর্ক নেই? এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুবেলের সাথে কথা হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান,মঞ্জুর আলমের কাছ থেকে তিনি চার’লাখ টাকা পাবেন। সেই টাকার জন্য ২০২৩ ইং সালেও তিনি ওই একই গরুগুলো এনেছিলেন। তখন ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইমাম হাসানের মধ্যস্থতায় টাকা পরিশোধের শর্তে সেগুলো ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু শর্ত মোতাবেক একবছর পেরিয়ে গেলেও পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়ায় তিনি একই গরুগুলো ধনিয়া থেকে ফের নিয়ে আসেন। বর্তমানে ওই গরুগুলো তার মামা কাচিয়া ইউপি সদস্য মনিরের খামারে হেফাজতে রেখেছেন বলেও দাবী করেন রুবেল।
বিষয়টি নিয়ে মঞ্জুর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,২০২৩ ইং সালে এ বিষয়ে যখন থানায় বসাবসি হয়েছিলো তখন পর্যন্ত তার পরিচালনাধীন ইউনাইটেড মাল্টিপারপাস গ্রাহকদের টাকা সরাসরি দিয়ে আসছিলো। তাই সমিতি থেকে রুবেলের টাকা পাইয়ে দেয়ার কথা দেয়া হয়। কিন্ত ওই বছরের ৩ মে সমবায় অধিদফতর থেকে সমিতিটির বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের জন্য একটি মামলা দেয়া হয়।
যার নং সি আর -২৩৫/২৩ইং।
মমলা হওয়ার পর থেকে সমিতিটির সরাসরি গ্রাহকদের অমানত ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। তিনি বলেন,আমার সাথে উক্ত গ্রাহক রুবেলের ব্যাক্তিগত কোনো লেনদেন নেই। সে সমবায় অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রনাধীন সমিতিতে সঞ্চয় রাখতেন। বর্তমানে সমবায় দপ্তরের দেয়া মামলাটি ভোলা কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে বিধায় আমানতকারীদের সাথে সমিতির সকল কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।