
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে গত ৩০ মার্চ ২০২২ইং রাত আনুমানিক ১০টার সময় মোহাম্মদ আলী ওরফে হানিফ ভান্ডারীর উপর হামলার ঘটনার দায়ভার অসহায় পরিবারের ওপর চাপানোর চেষ্টার অভিযোগ।
মোঃ ফারুক অভিযোগ করে জানান, হানিফ ভান্ডারী সম্পর্কে আমার মামা দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর পূর্বে তার সাথে আমাদের পারিবারিক জমিজমার বিরোধ নিয়ে মামলা ছিল।
ওই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর আমরা যার যার মতো করে থাকি, গত ৩০মার্চ রাতে তারই বাসার কাছে তার সাথে কি হয়েছে এবং কারা কি কারণে তার উপর হামলা করেছে তা আমরা জানি না।
আমরা বিষয়টি বুঝে উটতে পারছিলামনা, তাই ঘটনাস্থলে আসতে বিলম্ব করি।
এ সুবাধে তারা বলে আমরা তার উপর হামলাকারীদের সাথে জরিত ছিলাম।
তাদের এ মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগের প্রতি আমরা তীব্রনিন্ধা জানাই।
এলাকাবাসী জানান মোহাম্মদ আলী ওরফে হানিফ ভান্ডারী একজন মামলাবাজ দুষ্কৃতী লোক সে যেকোনো সময় তার স্ত্রীও মেয়েদেরকে সাধারণ মানুষের পিছনে লেলিয়ে দিয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন,
গত ৩০ মার্চ রাত আনুমানিক ১০টার সময় ভান্ডারীর স্ত্রী মাছ ব্যবসায়ী আক্তারকে তার বাসায় যাওয়ার জন্য খবর দেয়।
মাছ ব্যবসায়ী আকতার খবর পেয়ে তার বাসায় গেলে ভান্ডারী ও তার স্ত্রী মিলে আকতারকে পিটিয়ে তার ব্যবসায়ীক টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
কোন উপায় না পেয়ে মাছ ব্যবসায়ী আকতার বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বিষয়টি জানান।
স্থানীয় আজগর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভান্ডারিকে চড় থাপ্পড় মেরে শাসিয়ে দেন।
ঠিক তখনই ভান্ডারীর স্বজনরা এসে সুকৌশলে চিকিৎসার জন্য ভান্ডারীকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরের দিন হাসপাতাল থেকে ভান্ডারীর নাম কেটে ঢাকায় তার বড় মেয়ে নাজমার বাসায় নিয়ে যায়, ঢাকায় নিয়ে তারা ঘোষণা দেয় ভান্ডারিকে মাডার করা হয়েছে সে মৃত।
তারা আরো জানান, আমরা খবর নিয়ে দেখেছি ভান্ডারী তার মেয়ে নাজমার বাসায় ভালোই ভাবে রয়েছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারীর আরেক মেয়ে তাছনুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা এখন ঢাকায় আছে কোথায় আছে আমি জানিনা, তবে তার ফোন বন্ধ রয়েছে।
উক্ত হামলার দায়ভার ফারুক গংদের উপর চাপানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তাছনুর জানান, ফারুকরা আমার ফুফাতো ভাই এবং আত্নীয় আমার বাবার উপর এত বড় ঘটনা ঘটে গেল তারা কেন কোন প্রকার প্রতিবাদ করলো না তাই এসব বলছি।
বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান,উভয়ের কথা মুখিক শুনেছি এখন পর্যন্ত কেহ কোন প্রকার অভিযোগ করেনি।
তবে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।
ভুক্তভোগি মোঃ ফারুক গংদের নিরপরাধ পরিবার কু’চক্রীদের অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য প্রশাসনের সু’দৃষ্টি কামনা করেন।