
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
গত ১৭ এপ্রিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজকের দেশবাণী পত্রিকায় “দৌলতখানে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চরপাতা জামেয়া মোহাম্মদিয়া দারুসসুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোঃ ফারুক।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মাদরাসা সভাপতি মাওলানা আবদুর রহমান খান তালুকদার সাহেব মাদরাসার মুহতামিম, শিক্ষা সচিব ও হিসাব রক্ষকসহ কয়েকজনকে বিবাদী করে ভোলার আদালতে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে আমরা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বারবার সভাপতি সাহেবের সাথে হিসাব নিকাশসহ সকল অভিযোগের সত্যতা যাচাই পুর্বক মজলিসে আমেলা ও মজলিসে শুরার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য একাধিকবার সহ- সভাপতি আবুল কাশেম নাগর মিয়ার মাধ্যমে আলোচনায় বসার আহবান করা হলেও সভাপতি সাহেব কোন কর্নপাত করেননি। পরে কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ইত্তেহাদু ওলামাইল মাদারিছিল ক্বাওমিয়া ভোলা এর সভাপতির কাছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আবেদন
করার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড কর্তৃক এবং আবদুর রহমান খান তালুকদার এর উপস্থিতিতে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যগন ১৪/৩/২০ ইং তারিখে মাদরাসার সভাপতি মাওলানা আবদুর রহমান খান তালুকদারের আনিত সকল অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসার অফিস কক্ষে ব্যাপক অনুসন্ধান করেন। পরে সভাপতির উপস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তদন্ত কমিটি । এ সময় সভাপতি মানে আবদুর রহমান খান তালুকদার কোন আপত্তি তোলেন নি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সুত্রে জানাগেছে, সভাপতি মাওলানা আবদুর রহমান খান তালুকদার সাহেব কর্তৃক মাদরাসার অর্থ আত্মসাতসহ যে সকল অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন তার কোন অভিযোগর কোনরকম সত্যতা পাওয়া যায়নি।
উপরন্তু সভাপতির খামখেয়ালি অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার হিতাকাঙ্ক্ষীগণকে অবগত না করে আদালতে মামলা দায়ের করার ফলে মাদরাসার ভাবমূর্তি চরম ক্ষুণ্ন এবং মাদ্রাসার সার্বিক উন্নতির পথ বাধা হওয়ার আশঙ্কায় সভাপতির ক্ষমতা খর্ব করে মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত ব্যতিত সভাপতি সাহেব একক ভাবে মাদরাসার মুহতামিম ও শিক্ষকগণের ব্যাপারে এ ধরণের অবান্তর অভিযোগ লিখা থেকে বিরত থাকার সুপারি করেছেন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যগণ।
প্রকাশিত সংবাদে মাদরাসা ও কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি চরম ক্ষুণ্ন হয়েছে মর্মে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোঃ ফারুক হোসেন।