বিদ্যুতের মিটার রিডার মহিউদ্দিনের অবৈধ সম্পদের পাহাড়

বিদ্যুতের মিটার রিডার মহিউদ্দিনের অবৈধ সম্পদের পাহাড়

এম রাসেল সরকার,(ঢাকা)প্রতিনিধি।


রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইলে অবস্থিত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড কোম্পানীর মিটার রিডার মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। কর্মজীবনে প্রাপ্ত বেতন ভাতার সাথে তার অর্জিত সম্পদের হিসেবটা যেন অস্বাভাবিকই বটে। যা নিয়ে অবৈধ ইনকামের ফসল বলেই গুণজন বইছে স্থানীদের মুখে মুখে।

তবে মহিউদ্দিন নিরঙ্কুশ সৎ মানুষ এমনটাই দাবী করেন তার শুভাকাঙ্খীরা। তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে গেলে বাহারী ক্ষমতার পরিচয়ে ছুটে আসেন মহিউদ্দিনের ভাতিজা খ্যাত যুবলীগ নেতা সজল মিয়া। নানান পরিচয়ে গরম গরম প্রশ্নের ফাঁকে ফাঁকে উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে থাকেন তারা অরিজিনাল কিনা। কিন্তু প্রতিবেশী চাচা মহিউদ্দিনের প্রশংসায় সর্বক্ষণই পঞ্জমুখ তার এই ভাতিজা। তবে অনেক পরে জানা গেছে, এই ভাতিজা আর কেউ নয়, চাচা মহিউদ্দিনের অফিসেরই একজন প্রভাবশালী ঠিকাদার। সাংবাদিকদের সাইজ করা থেকে শুরু করে আদর-আপ্পায়ন ও অফিসের টেন্ডার কার্যক্রম সবই তার দখলে।

এসবের বাইরেও তিনি নিজেকে আওয়ামী যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নিজের অস্থিত্বের জানান দেন। তাদের গ্রামে বাড়ী বি-বাড়িয়া হলেও দীর্ঘ ধরেই বসবাস করে আছেন এই রাজধানী শহরে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড কোম্পানীর মাতুয়াইল অফিসের বিদ্যুতের লাইনম্যান মহিউদ্দিন। ডেসার থেকে চাকুরী চলে যাওয়ার দীর্ঘ সময় পরে নতুনভাবে নিয়োগ পান ডিপিডিসি বিভাগে। দুর্ঘটনা জনিত কারনে পায়ে সমস্যা হওয়া এখন তিনি অফিসে বসেই গ্রাহক সেবা বিভাগে কাজ করার সুযোগ পেয়ে গেছেন। সুত্র মতে, অফিসের বড় কর্তাদের ফাইলপত্রের গোপন ডিলিংস হয়ে থাকে তারই হাতে। আর এগুলোই ঘুরিয়ে দিয়েছে তার ভাগ্যের চাকা।

কামিয়ে নিয়েছেন দুহাত ভরে। কোটি টাকা খরচ করে অফিসের কাছেই বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মোল্লা সড়কের ইসলাম নগর আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলছেন ৩তলা বিশিষ্ট বাড়ী। তবে বাড়ীটির সামনে দাড়ালেই দেখা যায়, বাড়ীটি আবার রাজউকের নিয়মবহির্ভূত ভাবে নির্মান করা।

রাজউক থেকে প্ল্যান পাস করিয়ে সেই অনুযায়ী বাড়িটি নির্মানের আইন-কানুন বলবৎ থাকা সত্ত্বেও তিনি এসবের কোন কিছু পাত্তা দেননি। এছাড়া বাড়িটির হোল্ডিং ট্যাক্সও সঠিক নিয়মে পরিশোধ করেন না বলে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাংক ব্যালেন্স সহ নামে বেনামেও আরো অনেক সম্পদ। যা পরবর্তী অনুসন্ধানে উঠে আসবে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, নিজের কষ্ঠার্জিত টাকা, ব্যাংক ঋণ ও গ্রামের জমিজমা বিক্রয় করে এই বাড়িটি গড়ে তুলেছেন। মিটার রিডার পদে চাকুরীতে যোগদান করলেও এখন গ্রাহক সেবায় কাজ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *