বোরহানউদ্দিনে দলিল জালিয়াতি করে জমি দখলের অভিযোগ

বোরহানউদ্দিনে দলিল জালিয়াতি করে জমি দখলের অভিযোগ

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ

ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৮ নং মূলাইপত্তনে জীবনকৃষ্ণগং ও মাখম লাল গংদের ক্রয়কৃত জমির ভূয়া দলিল জালিয়াতি করে জমি দখল চেষ্টা চালায় কাচিয়া ইউনিয়নের মলয় কুমার দে ওরফে পাংকুশি দে (৫৫) বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সুশান্ত দে (৪৮)পিতা- মৃত কেশব সোম বলেন- সুভাষ সোম (৫৪) পিতা- মৃত অনন্ত কুমার সোম তৎকালীন পাকিস্তান আমলে তিনি তহসিলদার পদে কর্মরত ছিলেন সরকারি অর্থ আত্মসাতের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে সুভাষ সোম (৫৫) পিতা – মৃত অনন্ত কুমার সোম তার সকল সম্পদ দুই বোনের নামে স্লো -করে দিয়ে ১৯৬৩ সালে ভারত চলে যান। সেই সময় সরকারি অর্থ আত্মসাতের দায়ে তার ৭০০০ / ( সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন) টাকা না দিতে পারলে সুভাষ সোমের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্তের ঘোষণা হবে । তখন সুভাষ সোমের দুইববোন – নীহার কনা ও লীলাবতি দুই বোন জরিমানা ৭০০০/ (সাত হাজার টাকা) পরিশোধ করে। দুই বোনের নামে স্লো কৃত সম্পত্তি তারা ভোগ দখল করে থাকেন। তাদের নামে রেকর্ড ও নামজারি হয়। দুই বোনের সম্পত্তি জীবনকৃষ্ণ ও মাখম লাল ক্রয় করে এবং আমি ৩৭ বছর যাবৎ এই জমি ভোগ করে আসছি।সুভাষ সোম ১৯৬৩ সালে ভারত গেছেন দেশে আর আসেননি। মলয় কুমার দে ওরফে পাংকুশি দে হলেন সুভাষ সোমের ভাগিনা তিনি দাবী করেন সুভাষ সোম নাকি ২০১২ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে তার কাছে জমি বিক্রি করে গেছেন। সুভাষ সোমের নামে ভূয়া জন্ম সনদ, নাগরিক সনদ বের করে তারই ভাগিনা পাংকুশ দে। ২০১২ সালে টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন কামরুল আহসান চৌধুরী সচিব ছিলেন অমল দাস দে। আরও বলেন – সুভাষ সোম সেই সময় ভারত গেছেন আর আসেননি এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিকও না। সুভাষ সোম আজও বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তাও খোঁজ নাই। তাহলে সুভাষ সোমের জন্ম সনদ, নাগরিক সনদ – পাংকুশ দে কোথায় পেলেন। সুভাষ সোমের বোন থেকে এস এ ২৯০ নং খতিয়ানে ৪২৩,৪২৮,৪৩৫,৪৩৭,৪৩৯,৪৪১,৪৪৩,৪৪৪,৪৪৫,এই দাগে সুভাষ সোম মালিক ছিলেন। বর্তমানে আমি সুশান্ত চন্দ্র দে মালিকানা হিসেবে ভোগ দখলে আছি। বর্তমান বিএস খতিয়ানও আমার নামে আসে। আমি একটি দেওয়ানী মামলা করি যার স্বাক্ষী গ্রহন চলছে।

ভুট্টো দে (৪১) জানান – ১৯৬৩ সালে অর্থ আত্মসাতের মামলা হলে সুভাষ সোম ভারতে চলে যায়। যাওয়ার আগে দুই বোনের নামে স্লো দিয়ে জমি দিয়ে যান। নীহারকণা ও লীলাবতি দুই বোন জমি বিক্রি করেন – জীবন কৃষ্ণ গং এবং মাখম লাল গংদের নিকট। এদের নামে বর্তমানে বিএস খতিয়ান সহ সকল কাগজ পত্র তাদের নামে হয়ে আসে এবং বর্তমানে তাদের উত্তরসুরী হিসেবে আমি এই জমি ভোগ ও দখলে আছি। সুভাষ সোম মোট জমির মালিক ১ (একশত) ২৮ (আটাশ) শতাংশ। এই দিকে মলয় কুমার দে ওরফে পাংকুশি দে (৫৯) পিতা- মৃত অমৃত লাল দে ভূয়া জন্ম সনদ, নাগরিক সনদ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়ে মলয় কুমার দে ওরফে পাংকুশি দে ২ একর ২৮ অন্য একটি দলিলে ১ একর ৪৬” মোট দুই দলিলে ভূয়া দলিল করে জমি দাবী করে আসছে। এই অবস্থায় ২০১২ সালে ফৌজদারি আদালতে জাল দলিল ও দলিল বাতিলের মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তে আছে বলে জানান।এমপি মামলা নং ২৩৮/২০২১ইং আরও বলেন সিআইডির তদন্তে আছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুভাষ সোমের নামে জন্ম সনদ ও নাগরিক সনদ ২০১২ সালে সুভাষ সোম নিজে এসে নিয়েছে কিনা তা যাচাই বাছাই করে সঠিক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরুন অর রশিদ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এর নিকট নোটিশ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কালিমুল্ল্যাহ প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করেন।

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ কালিমুল্ল্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- ২০১২ সাল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ছিলেন অমল দাস তারপরও আমি দেখতেছি সুভাষ সোমের নামে জন্ম সনদ ও নাগরিক সনদ যাচাই বাছাই করে সঠিক প্রতিবেদন সিআইডির নিকট পাঠাবো এমনটাই বলেন।

স্হানীয় সূত্রে জানা যায় – ১৯৬৩ সালে সুভাষ সোম (৫৫) তৎকালীন পাকিস্তান আমলে তিনি তহসিলদার পদে কর্মরত ছিলেন ভারত যাওয়ার আগে তার দুই বোনকে এই সম্পত্তি দিয়ে যান। দুই বোনের সম্পত্তি জীবন কৃষ্ণ গং ও মাখম লাল গংদের নিকট বিক্রি করে। তাদের উত্তরসুরী হিসেবে সুশান্ত দে ও ভুট্টো দে তারা অনেক বছর ধরে এই জমি তাদের ভোগ দখলে আছে আমরা দেখি । সুভাষ সোম তিনি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছেন সেটাও আমরা জানিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *