
বিশেষ প্রতিনিধি।
ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন উত্তর চর মানিকা ২ নং ওয়ার্ডস্থ বেচু হাওলাদার ” ওয়াকফ এস্টেটের ইসি নং-১১৫৬৮ ” তফসিল সম্পত্তি মৌজা উত্তর চর মানিকা-জে এল নং ১১৮,দিয়ারা খতিয়ান নং- ১৮৮৩,অনলাইন খতিয়ান নং-২২২৪,যাহার দাাগ নং-২১৫৩,২১৫৪,২১৮৬,২১৯৪,২১৯৫,২০৪২,২১৬০,২২০২,৩০৫৬,৩০৫৭,৩০৫৮,৩০৫৯,৩১১৭,৩২২৪ মোট= ২৯.২৯ একর।
বাংলাদেশ ওয়াকফ এস্টেট মগবাজার ঢাকা এর প্রতিনিধি যুগ্ম মোতাওয়াল্লি ১/ ফয়েজ আহম্মদ,২/মহিউদ্দিন আহম্মদ উভয়: পিতা- বারেক হাং উক্ত এস্টেট ৩৩ বছর যাবৎ দায়িত্বশীলতায় পরিচালনা করে আসছেন।
গত দুই বছর থেকে এলাকার কিছু কুচক্রী ও সন্ত্রাসী মহল উক্ত এস্টেটের সম্পত্তি আত্নসাতের পায়তারা করলে,গত ২৯/০১/২০২৪ ইং তারিখে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী ভুক্ত হন।
তার পরেও কুচক্রী,সন্ত্রাসী মহল ক্ষ্যান্ত না হয়ে জোর পূর্বক এস্টেটের সম্পত্তি দখল করতে গেলে,ওয়াকফ এস্টেট রক্ষার্থে, ওয়াকফ এস্টেটের পক্ষে দায়িত্বশীল মোতাওয়াল্লি কর্তৃক গত ০৪/০২/২০২৪ ইং চরফ্যাশন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা নং- সি আর- ৪৯/২০২৪ ইং দায়ের করেন।
সন্ত্রাসীরা জানতে পেরে,গত ০৬/০২/২০২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ৯.০০ ঘটিকায় মহিউদ্দিন আহম্মদ,প্রধান শিক্ষক (অব.)১১৪ নং পুর্ব চর মানিকা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় ও ওয়াকফ এস্টেট ইসি নং ১১৫৬৮ এর যুগ্ন মোতাওয়াল্লী চর মানিকা ২ নং ওয়ার্ডস্থ স্থানীয় ময়না বাজার থেকে দক্ষিণ আইচার উদ্দেশ্যে,ইলিয়াস বিশ্বাসের বোরাক গাড়ীতে উঠে রওয়ানার প্রাক্কালে বাজারের সেলুন দোকানের সামনে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ১/কাউসার হাং (৪৫),পিতা- মৃত.আঃ মোতালেব হাং ২/ নিশাত হাং (২১),পিতা- আইয়ুব হাং ৩/ মনির হাং,পিতা- মৃত.বাছের হাং,৪/ মামুন হাং ,পিতা- মৃত.মনির হাং বোরাকের গতি রোধ করে মহিউদ্দিন আহম্মদ মাষ্টারকে চারদিক থেকে আক্রমণ করে।
কাউসার মহিউদ্দিন মাষ্টারের পাঞ্জাবি টেনে ধরে গালে উপর্যুপরি থাপ্পড় মারলে তাঁর কানে পর্দা ফেটে যায়।এবং টেনে হেচঁড়ে বাজারের বাহিরে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মহিউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট ” ল “কলেজে ভর্তি ও থাকা,খাওয়ার জন্য পাঠাবে বলে সাথে থাকা ১ লক্ষ পঁচাশি হাজার টাকা সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নেয়।
বাজারের লোকজন দাঁড়িয়ে,দাঁড়িয়ে দেখলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।হৈচৈ শুনে বাজারের দক্ষিণ দিক হতে মোসলেম ডা.ও দেলোয়ার ডা.এসে সামনে দাঁডাইলে সন্ত্রাসীরা জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য বলে ওর কাছে টাকা পাব।শেষে সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় মহিউদ্দিন আহম্মদ আরও টাকা না দিলে ওকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
তখন মোসলেম ডা.ও দেলোয়ার ডা. বলেন,আমরা তোমাদের বিষয়টি সুরাহা করব।ইতিমধ্যে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সোহাগ মিয়া উপস্থিত হলে মহিউদ্দিন আহম্মদ তাঁকে এহেন ঘটনার বর্ননা দেন এবং সুরাহার অনুরোধ করেন।দেলোয়ার ডা. বলেন,এখন নির্বাচন মুহুর্ত,এই মুহুর্তে শালিশ করা সম্ভব নয় তবে ২/১ দিনের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা হওয়া উচিত।
মহিউদ্দিন মাষ্টার ঘটনার পর আহতাবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা ২ টি ট্রাক্টর নিয়ে তাঁর বাড়ীর দক্ষিন পাশে দুই মোতাওয়াল্লীর ৩/৪ একর জমিতে চাষ দিয়ে ডাল বুনতে যায়।এস্টেটের পক্ষে মোতাওয়াল্লীর বড় ভাই ফখরুল ইসলাম জমিতে গিয়ে বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে সে জমিতে লুটে পড়ে।
এমতাবস্থায় ফখরুল ইসলামের মেয়ে লিনা বেগম তাঁর বাবাকে ছাড়াইতে গেলে তার শাড়ীর আঁচল ধরে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার বাহিরে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
মহিউদ্দিন আহম্মদ মাষ্টার পরবর্তীতে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি সাহেবকে বিষয়টি জানাইলে ওসি সাহেব ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠায় সন্ত্রাসীরা প্রশাসন আসার টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।এস্টেট এহেন ঘটনার তদন্তপুর্বক সুষ্ঠু সমাধান প্রত্যাশা করেন।